সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ দোয়া ও নেওয়াজ বিতরণ করা হয়েছে। ৩০ মে বৃহস্পতিবার বাদ আছর নগরীর ২নং রেলগেট এলাকায় এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। মহানগর বিএনপির সাবেক অন্যতম সদস্য ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) জিয়াউর রহমান জিয়ার উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে দোয়াপূর্ব এক সংক্ষিপ্ত আলোচনায় জিয়া বলেন, এ জিয়াউর রহমানকে দেশের আঠারো কোটি মানুষ চেনে। শেখ হাসিনা ব্যতিত তাকে চেনে না এমন কোন ব্যক্তি নাই। শুধু শেখ হাসিনা জিয়াউর রহমানকে চিনতে পারেনাই। এদেশের মানুষ জানে যে, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্য এদেশে একটি স্বাধীন লাল সবুজের পতাকা উত্তোলন হয়েছিলো। আপনার দেখেছেন, এ শেখ হাসিনা ফ্যাসিবাদি সরকার তিন তিনবার ভোট চুরি, ভোট ডাকাতি করে তারা দেশ পরিচালনা করছে। তারা কোন সুষ্ঠু নির্বাচনে যাচ্ছেনা, তারা কোন নিরদলীয় সরকার অধীনে যে নির্বাচন সে নির্বাচনেও যাচ্ছেনা। কারণ, তারা জানে এদেশে তাদের কোন জনপ্রিয়তা নেই। এদেশের মানুষ তাদেরকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।
জিয়া নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, জিয়াউর রহমান যদি এদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না করতেন, তাহলে এদেশে কেউ রাজনীতি করার সুযোগ পেতেন না। শহীদ জিয়াউর রহমান একটি ইতিহাস। আজ স্কুল কলেজে শুধু শেখ মুজিবুর রহমানের ইতিহাস পড়ানো হয়। কিন্তু যে ব্যক্তি স্বাধীনতা ঘোষণা করে আমাদের একটি দেশ, একটি ভূগন্ড এনে দিলো, সেই জিয়াউর রহমানের ইতিহাস পড়ানো হয় না। বরং তার ইতিহাস মুছে ফেলার হাজারো চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আপনারা জানেন জিয়াউর রহমানের ইতিহাসকে মুছে ফেলার জন্য সম্প্রতি চাষাঢ়া জিয়া হল থেকে আমাদের আদর্শিক নেতা জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল রাতের আধারে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। আমি এ ঘটনার সেদিনই তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছি, এখনও নিন্দা জানাই। আসলে তারা ভাবছে, এসব ম্যুরাল টোরাল ভেঙ্গে মানুষের হৃদয় থেকে জিয়াউর রহমানের ইতিহাস মুছে ফেলা হবে। কিন্তু যে নাম এদেশের কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে লেখা রয়েছে, সে নাম এ সরকার হাজারো চেষ্টা করেও মুছে ফেলতে পারবেনা।
বক্তব্য শেষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও তার ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনাসহ বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও তারেক রহমানের দীর্ঘায়ূ কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি পারভেজ মল্লিকের সঞ্চালনায় দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন- মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মাগফুর ইসলাম পাপন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোশারফ হোসেন মশু, সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জাকির হোসেন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আনোয়ার গাজী, জনি দেওয়ান, সুমন, মো: মোজাম্মেল, মো: রনি, মো: সুজন, মো: রাসেল, মহানগর ছাত্রদল নেতা ইব্রাহিম আহমেদ বাবু, সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মো: রয়েল আহমেদ, মো: পরান, মো: আবির, মো: আসিফ, মো: আলভি, মো: সোয়াদ প্রমূখ।