সোনারগাঁবাসীর কল্যাণের মাঝেই সাবেক এমপি খোকার নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির অস্তিত্ব!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বছর না পেরুতেই সাবেক সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকাকে অনুভব করছেন সোনারগাঁবাসী। গেল দশটি বছরে খোকার নেতৃত্বে সোনারগাঁও ছিলো শান্তির নগরী। কিন্তু গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উত্তাপের মাঝেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে খোদ আওয়ামীলীগের উত্তাপেই পুরো সোনারগাঁয়ে ছড়িয়েছিলো উত্তাপ। ক্ষমতা ভাগাভাগির লড়াইয়ে আওয়ামীলীগ এখন খন্ডখন্ড ভাগে বিভক্ত। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিটা ইউনিয়নেই ছোট বড় হানাহানির ঘটনা ছিল বেশ। পুরো সোনারগাঁ এখন আওয়ামীলীগের একক নিয়ন্ত্রণে। সামনে ক্ষমতা ও হালুয়া রুটির ভাগাভাগি নিয়ে সরকারি দলের মাঝে নানান ঘটনা অপেক্ষা করলেও নীরবে সোনারগাঁবাসীর সেবায় নিয়োজিত সাবেক এমপি খোকা। সোনারগাঁবাসীর খোঁজখবর নিচ্ছেন তিনি নিয়মিত। বিভিন্ন এলাকায় ঘুরছেন তিনি। সাধারণ মানুষের সঙ্গে ও দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।

গত ৭ জানুয়ারী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁ) আসনের দুইবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা পরাজিত হলেও তিনি সোনারগাঁবাসীর সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন। একইভাবে উপজেলা জুড়ে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের সরব অবস্থানও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যদিও বেশকিছু এলাকায় জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা হয়রানিমুলক মামলা দায়ের করে আওয়ামীলীগে ফেরানোর চেষ্টা করছেন বর্তমান এমপি ও তার লোকজন। কিন্তু এরি মাঝেও দমে যায়নি সোনারগাঁয়ের জাতীয় পার্টি। যা বর্তমানে সোনারগাঁয়ে জাতীয় পার্টি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সক্রিয়তায় প্রমাণ করে।

স্থানীয়দের সূত্রে, গত ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবসে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীদের নিয়ে শোডাউন করে শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য, ঢাকা বিভাগীয় অতিরিক্ত মহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকা। যদিও গত ১০টি বছরে সাবেক এমপি খোকাকে ব্যবহার করে সুবিধা আদায় করা জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম ইকবাল সহ বেশকজনকে সাবেক এমপির পাশে সক্রিয় দেখা না গেলেও প্রায় অধিকাংশ নেতাকর্মীরা লিয়াকত হোসেন খোকার পাশে দেখা যাচ্ছে সরব। তবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীকে সমর্থন ঘোষণা করার পর জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা আবারো বেশ জোরেসোরে সরব হোন।

জাতীয় নির্বাচনের পরে স্বাধীনতা দিবসে লিয়াকত হোসেন খোকার সঙ্গে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন-সোনারগাঁও পৌর জাতীয় পার্টি সভাপতি এম এ জামান, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফি, জেলা জাতীয় পার্টি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান বাবু, হাজী জাবেদ রায়হান, প্রচার সম্পাদক ফজলুল হক মাস্টার, জাতীয় মহিলা পার্টি উপদেষ্টা জাহানারা রহমান, উপজেলা জাতীয় যুব সংহতির আহ্বায়ক কাজী নাজমুল ইসলাম লিটু, সদস্য সচিব সিকান্দার আলী, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাঈনুল ইসলাম মামুন, উপজেলা জাতীয় মহিলা পার্টি আহবায়ক নাসিমা আক্তার পলি মেম্বার, যুগ্ম আহবায়ক নাসরিন আক্তার পান্না, সদস্য সচিব নারগিস আক্তার মেম্বার, উপজেলা জাতীয় পার্টি নেতা আলী আকবর মেম্বার, জামপুর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টি সিনিয়র সহ-সভাপতি মনির হোসেন মেম্বার, হাজী মহিউদ্দিন, হাসান ইমাম, জাতীয় পার্টি নেতা বকুল মেম্বার, আলী জাহান মেম্বার, সাকিব হাসান মেম্বার, হারুন অর রশীদ মেম্বার, ইব্রাহিম হোসেন মেম্বার, ফারুক মান্নান মেম্বার, মাইনুদ্দিন মেম্বার, আউয়াল মেম্বার, শহীদ বাদশা মেম্বার সহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।

এ ছাড়াও গত পবিত্র রমজান মাসের প্রতিদিন সাবেক এমপি খোকার উদ্যোগে উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় পথচারী গরীব অসহায় দুস্থ মানুষদের মাঝে ইফতার বিতরণ করা হয়েছিলো। মাঝে মাঝে লিয়াকত হোসেন খোকা নিজ হাতে ইফতার তৈরি করে সকলের সঙ্গে বসে ইফতার করেছিলেন। প্রতি বছরের ন্যায় তিনি এই কর্মসূচি পালন করেন।

এ ছাড়াও তিনি ২৯ মার্চ পরিবহন শ্রমিক ও দিনমজুরদের মাঝে তরমুজ বিতরণ করেছেন। নিয়মিত উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও ইফতার পার্টি করেছিলেন। গত নির্বাচনের পর উপজেলা জাতীয় ছাত্র সমাজের সঙ্গেও তিনি আলোচনা সভা করেছেন। মোটকথা নির্বাচনে তিনি পরাজিত হলেও সোনারগাঁয়ে জাতীয় পার্টির রাজনীতিক সরব রেখেছেন সাবেক এমপি খোকা।