সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের তৃণমুল থেকে ওঠে আসা আজকের আওয়ামীলীগ নেতা হাজী শাহ মোহাম্মদ সোহাগ রনি। শত বাধা বিপত্তি ষড়যন্ত্র চক্রান্ত পেরিয়ে তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে অধিষ্ট হয়েছেন। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দেশের সর্ববৃহত্তর রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের দলীয় প্রতীক নৌকা মার্কা নিয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছিলেন তিনি। বহু রাঘোববোয়ালদের প্রকাশ্য ও গোপন ষড়যন্ত্রের কাছে মাত্র কয়েকটি ভোটে হেরে যান। তারপরেও থেমে নেই তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। এবার গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে কিছু গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে অসত্য কল্পকাহিনী সাজিয়ে সোহাগ রনির বিরুদ্ধে প্রচারণা চালানো হচ্ছে বলেও স্থানীয় নেতাকর্মীদের অভিযোগ।
স্থানীয়রা জানান, সোহাগ রনির পিতা শাহজামাল তোতা সোনারগাঁও উপজেলা কৃষকলীগের নেতৃত্বস্থানীয় নেতা ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার হিসেবেও জনগণের সেবা করেছেন। সোনারগাঁজুড়ে তোতা মেম্বার নামে তাকে অধিকাংশ মানুষজন চিনেন। সোহাগ রনির পূর্ব পুরুষরাও রাজনীতি ও জনগণের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন। সেই পরিবার থেকে তীল তীল করে রাজনীতিতে ওঠে আসা সোহাগ রনি। বিএনপি জামাত জোট সরকার আমলে স্কুল কলেজ জীবন থেকে ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে রাজপথে আন্দোলন করেছেন।
২০০৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার কয়েক বছর পর নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে সহ-সভাপতি পদে দায়িত্ব পান সোহাগ নরনি। ছাত্রলীগের স্চ্ছ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতির মাধ্যমে তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা পর্যায়ে প্রভাবশালী রাজনীতিবিদদের সুদৃষ্টিতে আসেন। জেলা ছাত্রলীগের বড় বড় কর্মসূচিতে সোহাগ রনি বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীদের নিয়ে জেলা পর্যায়ে শোডাউন করেছেন। রাজনীতির পাশাপাশি ক্রীড়াঙ্গনেও বেশ ভুমিকা রাখতে থাকেন সোহাগ রনি। মানবসেবায়ও নিজেকে নিয়ৈাজিত রাখেন। পাশাপাশি তিনি তার বৈধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও পরিচালনা করে সেই আয় দিয়ে মোগরাপাড়া ইউনিয়নের গরীব অসহায় মানুষের পেছনে জনসেবা করে যান। যার ফলশ্রুতিতে তিনি মোগরাপাড়া ইউনিয়নে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন এবং গত নির্বাচনে আওয়ামীলীগ তাকে নৌকা প্রতীকে মনোনিত করে।
নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করলেও একটি চক্র সোহাগ রনির বিরুদ্ধে কাজ করেছেন। সেই চক্রটি গত জাতীয় নির্বাচনে সুবিধা করতে পারেনি। যার ফলে জাতীয় নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে এমপি নির্বাচিত হোন আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত। জাতীয় নির্বাচনে নৌকার পক্ষে জোরালোভাবে কাজ করে যান সোহাগ রনি। পুরো নির্বাচনের কয়েক মাস পূর্ব থেকে সোহাগ রনি কায়সার হাসনাতের জন্য কাজ করেন। যারা মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে কাজ করেছিলেন, তারা জাতীয় নির্বাচনেও নৌকার পক্ষে জোরালোভাবে কাজ করেননি। যার কারনে কায়সার হাসনাতের খুব কাঠাকাছি চলে আসেন সোহাগ রনি। এতেই অনেকের চোখ কপালে ওঠে যায়। কায়সার হাসনাতের ঘনিষ্ঠ সোহাগ রনিকে সরাতে চক্রান্ত শুরু হয়েছে। ফলে সোহাগ রনিকে টার্গট করে একটি চক্র নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন।