বিএনপির নেতাকর্মীরা ছুটছে আজাদের পেছনে!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির একচ্ছত্র আধিপত্য এখন নজরুল ইসলাম আজাদের হাতে। নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগরীর রাজনীতির নিয়ন্ত্রকও হয়ে ওঠেছেন তিনি। একই সঙ্গে জেলা ও মহানগর বিএনপি ও এর বেশকটি অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলোর অভিভাবকও হয়ে ওঠেছেন নজরুল ইসলাম আজাদ। এরি মাঝে তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্বও পেয়েছেন। ঢাকা বিভাগের ভেতরে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিদ্যমান থাকায় নজরুল ইসলাম আজাদের পেছনেই ছুটছে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির অধিকাংশ নেতাকর্মী। ঢাকা বিভাগের দায়িত্ব পাওয়ার পর সাংগঠনিক নিয়ম মোতাবেক তিনি এমনিতেই নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির অভিভাবক।

স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, কয়েক বছর আগেই নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠন একক নিয়ন্ত্রনে চলে যান নজরুল ইসলাম আজাদের হাতে। ওই সময় তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। একইভাবে জেলা বিএনপির আওতাধীন অন্যান্য থানা এলাকার অনেক নেতাকর্মীদের অভিভাবক হয়ে ওঠেন তিনি। জেলা বিএনপির বেশকটি অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের সরাসরি নিয়ন্ত্রকও আজাদ। জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক হলেন আজাদের ঘনিষ্ঠ কর্মী।

যদিও এর আগে থেকেই আজাদের নেতৃত্বে রাজনীতি করে আসছেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুকুল ইসলাম রাজীব। জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি লুৎফর রহমান আব্দু, আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির সভাপতি ইউসুফ আলী ভুঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক জুয়েল হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবু সহ পুরো আড়াইহাজার বিএনপির নেতাকর্মীরা আজাদের নিয়ন্ত্রণে রাজনীতি করছেন। সেই সব নেতাকর্মীদের নিয়ে গত জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে নারায়ণগঞ্জে সর্বাত্মক জোরালো আন্দোলনও করেছেন নজরুল ইসলাম আজাদ।

এদিকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সঙ্গেও আজাদের ঘনিষ্ঠতা দৃশ্যমান। টিপু ও তার অনুগামী নেতাকর্মীরা আজাদের বলয়ে রাজনীতি করে আসছেন। মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল ও তার অনুগামী নেতাকর্মীরা দীর্ঘদিন যাবত আজাদের বলয়ে রাজনীতি করে আসছেন। অনেক আগে থেকেই মহানগর যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টিও আজাদের পক্ষে রাজনীতি করে আসছেন। মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ মোহাম্মদ রেজা রিপন ও তার অনুগামী নেতাকর্মীরাও আজাদের নেতৃত্বে রাজনীতি করে আসছেন।

অন্যদিকে ঢাকা বিভাগের দায়িত্ব পাওয়ার পর ঈদ উল আজহা উপলক্ষ্যে নেতাকর্মী ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন নজরুল ইসলাম আজাদ। ১৮ জুন মঙ্গলবার আড়াইহাজারের পাঁচরুখী এলাকায় আজাদের বাসায় এই মতবিনিময় করেন। ওই সময় তিনি বলেছেন, আমি ছবির রাজনীতি করি না। আমার নেতা আমাদের অভিভাবক তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাতের ছবি প্রচার করার মত হীন মানসিকতা আমার নাই। এটা অন্য কেউ প্রকাশ করেছেন।

ওইদিন নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির কয়েক হাজার নেতাকর্মী নজরুল ইসলাম আজাদের বাসায় যান তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করতে এবং তাকে শুভেচ্ছা জানাতে। বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীদের সমাগমে স্পষ্ট হয়ে ওঠে আগামীতে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির একচ্ছত্র অভিভাবক হয়ে ওঠবেন নজরুল ইসলাম আজাদ।

আজাদের সঙ্গে মতবিনিময়ে উল্লেখ্যযোগ্য নেতাদের মধ্যে ছিলেন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু, যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি লুৎফর রহমান আব্দু, আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির সভাপতি ইউসুফ আলী ভুঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক জুয়েল হোসেন, মহানগর বিএনপির সদস্য মজিবুর রহমান, মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু, যুবদল নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টি, মহানগর শ্রমিক দলের সদস্য সচিব ফারুক হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহাবুব রহমান, বন্দর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সভাপতি প্রার্থী সম্রাট হাসান সুজন প্রমূখ।