সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে চাঞ্চল্যকর “হত্যার উদ্দেশ্যে এসিড নিক্ষেপে গুরুতর আঘাত” সংক্রান্ত মামলার প্রধান আসামী ও চাঞ্চল্যকর অপরাধী মুরাদকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে র্যাব-১১ গ্রেপ্তার করেছে। ১৫ জুন শনিবার এ তথ্য জানান র্যাব-১১ এর কোম্পানী কমান্ডার, উপ-পরিচালক মেজর অনাবিল ইমাম।
তিনি জানান, গোপন সংবাদেরভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-১ নারায়ণগঞ্জ এর একটি আভিযানিক দল তথ্য প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা নজরদারীর মাধ্যমে গত ১৫ জুন নারায়ণগঞ্জজেলার সোনারগাঁও থানাধীন হোসেনপুর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে দীর্ঘদিন পলাতক উপরোক্ত নারায়ণগঞ্জের বন্দরে চাঞ্চল্যকর “হত্যার উদ্দেশ্যে এসিড নিক্ষেপে গুরুতর আঘাত” সংক্রান্ত মামলার প্রধান আসামী ও চাঞ্চল্যকর অপরাধী মুরাদকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরো জানান, গত ১২ জুন রাত ১০টার দিকে বাদীর ছেলে ও গ্রেপ্তারকৃত আসামী বাদীর ঘরে বসে এক সাথে খাওয়া দাওয়া করে ভিকটিমকে সাথে নিয়ে চলে যায়। রাত গভীর হলেও ভিকটিম বাসায় না আসলে বাদী বিভিন্ন জায়গায় ভিকটিমকে খোঁজাখুঁজি করে পাই না। পরবর্তীতে ১৩জুন ভিকটিমের সংবাদ পেয়ে বন্দর থানাধীন শান্তিনগর গুচ্ছগ্রাম সাকিনস্ত শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে উপস্থিত হলে ভিকটিম বাদীকে জানায় যে, গ্রেফতারকৃত
আসামী অন্যান্য আসামীদের সহযোগিতায় ভিকটিমকে ধারালো চাপাতি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্য মাথার মাঝ খানে কোপ মেরে গুরুতর কাঁটা রক্তাক্ত জখম করে এবং ভিক্টিমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে এসিড নিক্ষেপ করে গুরুতর জখম করে।এরপর বাদী ভিকটিমকে গুরুতর জখ মপ্রাপ্ অবস্থায় প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বন্দর, নারায়ণগঞ্জে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিমকে ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিট হাসপাতালে রেফার্ড করে।ভিকটিম বর্তমানে ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। ভিকটিমের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পরবর্তীতে ভিকটিমের পিতা মো: খোরশেদ আলম (৫৫) নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানায় একটি মামলা করেন।যার মামলা নং -২৬/১৯৬, তারিখ:১৪/০৬/২০২৪ইং, ধারা: ১৪৩/৩০৭/৩২৬/৩২৬-কপেনালকোড১৮৬০। গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানায় পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে।