সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় প্রেমের ফাদে ফেলে কথিত প্রেমিক আবু হাসান তার বন্ধুদের নিয়ে এক নারী গার্মেন্টস শ্রমিক তরুনীকে (১৯) ধর্ষণ করেছে। গণধর্ষণের শিকার তরুণীর হাত পা ও মুখ বেধে কয়েকজন মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় শিবলু সাহা (২৫) ও সুমনকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে মুলহোতা আবু হাসান ও শাকিলকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
২০ জুন বৃহস্পতিবার রাতে ফতুল্লার পঞ্চবটি গুলশান রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার দুপুরে উক্ত তরুণী বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে।
ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরে আযম মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, গণধর্ষণের ঘটনা বেশ কয়েকদিন আগের হলেও লোকলজ্জার ভয়ে মেয়েটি ঘটনাটি গোপন করে রেখেছিল। কিন্তু ধর্ষণের ঘটনা ভিডিও ধারণ করে রেখেছে এই কথা বলে মোটা অংকের টাকা চেয়ে মেয়েটিকে ব্লাকমেইলিং করতে থাকে। তাদের দাবিকৃত টাকা না দিয়ে ধারণকৃত ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে আসছিল। এ ঘটনার গার্মেন্টস কর্মী অভিযোগ দায়ের করার পর পরই অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর ঘটনার সাথে আরো যারা জড়িত রয়েছে খুব শিগগিরই তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হবে।
পুলিশ ও ঘটনার সূত্রে জানা গেছে, ফতুল্লার মুসলিমনগর নয়াবাজার সাত ভাই মার্কেট সংলগ্ন এলাকার ইউনুস মিয়ার ছেলে আবু হাসান (২৯) এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে একই এলাকায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাসকারী এক তরুণীর। সে বিসিক শিল্পনগরীর একটি গার্মেন্টে চাকরী করে। আবু হাসান আর গার্মেন্ট শ্রমিক তরুণী প্রেমের সম্পর্ক অনেকদিন গড়ায়। যার কারনে তরুণীকে আবু হাসানকে বিয়ের কথা বলে। কিন্তু হাসান বিয়ে করতে পারবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। মেয়েটি বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করে। যার কারনে পূর্ব-পরিকল্পিত ভাবে চলতি বছরের ৩০ মার্চ রাতে তরুণীকে কেনাকাটা করে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে পঞ্চবটি গুলশান রোড এলাকার বিকাশ বাবুর ছেলে শিবলু, একই এলাকার শাকিল, সুমন মিলে আবু হাসানের কথা বলে তরুণীকে ডেকে নিয়ে চাষাড়া যায়। পরে তরুণীকে সিএনজি দিয়ে ঘুড়িয়ে গভীর রাতে শিবলু সাহার পূরনো বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে সেখানে নিয়ে তরুণীর হাত পা এবং মুখ বেধে একজন একজন করে সারা রাত পালাক্রমে তরুণীকে ধর্ষণ করে। তার পর সারাদিন ধর্ষণের পর রাত ৮টার পর তরুণীকে হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেয়।
আর ঘটনার কয়েকদিন পর ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে রাখা হয়েছে এ কথা বলে তরুণীকে ব্লাকমেইল করতে থাকে। ধারণকৃত ভিডিওটি পরিবারের লোকজন সহ ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবি করে। লোকলজ্জার ভয়ে বেশ কিছু টাকা দেয়। গত কয়েকদিন ধরে ফের ব্লাকমেইল করলে আইনের আশ্রয় নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ঐ তরুণী। পরিবারের কাউকে না জানিয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করে। পরে পুলিশ ২ জনকে গ্রেপ্তার করে।