সোনারগাঁওয়ে স্কুল কমিটির সভাপতির তৎপরতায় নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থী চট্টগ্রাম থেকে উদ্ধার

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

একজন মানবিক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের তৎপরতায় নিখোঁজের ৪৫ দিন পর রাফি ও রাফাত নামের আপন দুই ভাইকে চট্টগ্রাম থেকে উদ্ধার করেছে সোনারগাঁ থানা পুলিশ।

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের মেঘনা শিল্প নগরী স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী রাফি ও রাফাত স্কুলে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয় গত ৫ মে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে। পরে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজে না পেয়ে পরদিন তাদের সৎ বাবা মো. ইউসুফ মিয়া বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় পৃথকভাবে সাধারণ ডায়েরি করেন।

এ ঘটনায় সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি, মেঘনা শিল্প নগরী স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম ব্যাপক তৎপরতা চালায় ও সন্ধানদাতাকে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দেন। এতে পুলিশ জোরেশোরে তদন্তে মাঠে নামে।

পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে পুলিশ নিখোঁজের ৪৫ দিন পর ঐ দুই ভাইকে তাদের আপন বাবা আব্দুস সালামের বাড়ি চট্টগ্রামের ভূজপুর থানার পাহাড়ি এলাকা বুহাপুর গ্রাম থেকে উদ্ধার করে সোনারগাঁ থানায় নিয়ে আসে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উদ্ধারকৃত রাফি ও রাফাতকে তাদের প্রকৃত অভিভাবকের কাছে ফিরিয়ে দিতে আদালতে পাঠিয়ে দেয় পুলিশ।

উল্লেখ, গত ১৪ মে নিখোঁজ দুই সন্তানদের ফিরে পেতে মা-বাবার আহাজারি শীর্ষক একটি প্রতিবেদন টিভি নিউজসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। সেই প্রতিবেদনের পর নিখোঁজ রাফি ও রাফাতের ছবি প্রেরণ করা হয় দেশের সকল থানায়।

এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের খ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল হোসেন স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে জানান, রাফি তিন বছর ও তার ভাই রাফাতের এক বছর বয়সের সময় তাদের মা আঁখি আক্তারের সঙ্গে আপন বাবা আব্দুস সালামের ডিভোর্স হয়ে যায়। পরে আঁখি আক্তারের সঙ্গে সৎ বাবা মো. ইউসুফ মিয়ার বিয়ে হয়।

এদিকে পারিবারিক অভাব অনটনের কারণে সৎ বাবার ঘর থেকে পালিয়ে যায় বাচ্চারা। পরে চট্টগ্রামে আপন বাবা আব্দুস সালামের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয় নিখোঁজ দুই ভাই।

তবে তদন্ত চলাকালীন সময়ে এ বিষয়ে পুলিশকে কোনো তথ্য দেয়নি রাফি ও রাফাতের মা আঁখি আক্তার ও সৎ বাবা মো. ইউসুফ মিয়া।