সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলাধীন রূপগঞ্জ ইউনিয়নের মধুখালী গ্রামে (১) ইষ্ট ওয়েষ্ট প্রপাটি ডেভলপমেন্ট প্রাঃ লিঃ, অফিস-১২৫/এ ব্লক, বসুন্ধরা আ/এ, ভাটরা, ঢাকা-১২২৯; (২) বসুন্ধরা সাইনিয়া সার্ভিসেস লিঃ, অফিস-১২৫/এ ব্লক, বসুন্ধরা আ/এ, ভাটরা, ঢাকা-১২২৯ ও (৩) আশালয় হাউজিং এন্ড ডেভেলপার্স লিঃ, হাউস নং-৩৭, রোড নং-১৮, সেক্টর নং-৩০, উত্তরা, ঢাকা সহ বিভিন্ন আবাসন প্রকল্প স্থাপনের জন্য প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন প্রকার অনুমতি বা ছাড়পত্র না নিয়ে এবং গ্রামবাসী থেকে জমি ক্রয় না করে জোরপূর্বক পুকুর, খাল, জলাশয়, কৃষিজমিতে বালি মাটি ভরাটের প্রতিবাদে স্থানীয় জনগণ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের নিকট আবেদন জানিয়ে কোন প্রতিকার না পাওয়ায় ভূমিদস্যুতা রোধে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ব্যর্থতা ও র্নিলিপ্ততা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবেনা এই মর্মে ৭ মে মঙ্গলবার বিচারপতি নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কামরুল কাদের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন ব্যাঞ্চ রুল জারীসহ সরেজমিনে তদন্তপূর্বক আদেশ হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে এফিডিফিটের মাধ্যমে হাই কোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য জেলা প্রশাসক, নারায়ণগঞ্জকে নির্দেশ প্রদান করেছেন।
আরও জানানো হয়, পর পর ২ দিন রীট পিটিশন শুনানী করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। তাকে সহায়তা করেন ব্যারিষ্টার মার-ই-য়াম খন্দকার ও ব্যারিষ্টার মনোয়ার হোসেন।
উল্লেখ্য, রূপগঞ্জ ভূমিদস্যুদের অভয়ারন্যে পরিনত হয়েছে। কৃষকদের জমিতে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কয়েক শত হাউজিং প্রজেক্ট গড়ে উঠেছে যারা প্রশাসনকে হাতে নিয়ে নদী-নালা, খাল-বিল ও ফসলী জমি ভরাট করে ফেলেছে। ইতোপূর্বেও আইনী লড়াইয়ের মাধ্যমে ভোলাব ইউনিয়নের ভূমিদস্যুদের প্রতিহত করে কৃষকদের জমি রক্ষা করেন তৈমূর আলম খন্দকার। এছাড়াও ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার জন্য তৈমূর আলম খন্দকার বিভিন্ন সময়ে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও স্বারক লিপি প্রদানে নেতৃত্ব প্রদান করেন।
এ মর্মে সাবেক রাষ্ট্রীয় আইন কর্মকর্তা তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, পরিবেশ রক্ষা ও কৃষকদের জমি বাড়ী সম্পত্তি রক্ষার্থে পূর্বেও আমি অনঢ় ছিলাম এবং ভবিষ্যতেও থাকবো। ভূমিদস্যু প্রতিরোধে আইনী লড়াই সহ যে যেখানে আমাকে ডাকবেন সেখানেই আমার উপস্থিতি পাবেন ইনশআল্লাহ।