সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
সীমানা সংক্রান্ত মামলা জটিলতায় আটকে থাকা নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার সোনারগাঁও পৌরসভা নির্বাচনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বছর খানিক পূর্বে এখানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। যদিও পৌরসভার পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন পরিষদগুলো সহ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে গেছে। ফলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও নির্বাচন কমিশন চাইলেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে পারে। কারন সীমানা সংক্রান্ত বিষয়ে জেলা নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে প্রতিবেদন পাঠিয়েছে কেন্দ্রে। নতুন করে মামলা জটিলতা সৃষ্টি না হলে নির্বাচন অনুষ্ঠানে বড় ধরণের কোনো বাধা নাই।
এদিকে নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীরাও রয়েছেন প্রস্তুত। সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করে নিয়েছেন গাজী মজিবুর রহমান। গত ২১ মে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি সোনারগাঁও পৌরবাসীর মাঝে নিজের অবস্থানও জানানি দিয়েছেন। ওই নির্বাচনে তিনি ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী মাহফুজুর রহমান কালামের পক্ষে নানা প্রতিকুলতার মধ্যেও কাজ করে গেছেন। ফলাফলে কালাম বিজয়ী হোন। পৌরসভার ভোটাররা গাজী মজিবুর রহমানের সাথে কালামের জন্য কাজ করে গেছেন। জনসমর্থনের কাছে টাকা ও হুমকি ধমকি কাজে আসেনি। কালামের বিজয়ের পাশাপাশি নিজের নির্বাচনী অবস্থানটিও গাজী মজিবুর রহমান শক্ত করে গড়েছেন তুলেছেন, যা তিনি প্রমাণ করতে পেরেছেন।
পৌরবাসী মনে করেন, পৌরসভা নির্বাচনে যেসব প্রার্থী রয়েছেন তাদের মধ্যে ক্লিন ইমেজ ও স্বচ্ছ পরিচ্ছন্ন রাজনীতিক কেবল গাজী মজিবুর রহমান, রাজনীতিতে যারা অনেক ত্যাগ রয়েছে। বিএনপি জামাত জোট সরকার আমলে তার পরিবার, আত্মীয়স্বজন কি পরিমান নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হয়েছিল তা উপজেলাবাসী সবাই অবগত। সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি পদে দীর্ঘদিন দায়িত্বে থেকেও তার বিরুদ্ধে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, বালু মহাল দখল, সন্ত্রাসী লালন পালনের মত অভিযোগ তো দূরের কথা এসবের দ্বারে কাছেও ছিলেন না গাজী মজিবুর রহমান। অঢেল টাকা সম্পদের মালিক হওয়ার পথে কখনই দৌড়াননি গাজী মজিবুর রহমান।
ভোটাররা মনে করছেন, সামনের নির্বাচনে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান কালামের একচ্ছত্র সমর্থন গাজী মজিবুর রহমানই প্রাপ্য এবং স্বচ্ছ পরিচ্ছন্ন ও পৌরবাসীর কাছে অধিক জনপ্রিয় হওয়ার কারনে স্থানীয় এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতের সমর্থনও গাজী মজিবুর রহমানের দিকেই থাকবে বলে মনে করছেন নেতাকর্মী ও ভোটারগণ। ২০১১ সালে তিনি আওয়ামীলীগের সমর্থন নিয়ে মেয়র পদে নির্বাচন করেও সামান্য কিছু ব্যবধানে এবং নিজ দলের কিছু নেতাদের বিরোধীতার কারনে জয়ের কাছাকাছি গিয়েও সাদেকুর রহমানের কাছে পরাজিত হোন গাজী মজিবুর রহমান। যেখানে গত নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়েও এটি ফজলে রাব্বী মেয়র সাদেকুর রহমানের সঙ্গে লড়াইটাও করতে পারেননি।
যদিও এটি ফজলে রাব্বী সামনের নির্বাচনে মেয়র পদে দাঁড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে এবারের নির্বাচনে নৌকা প্রতীক থাকছে না। এ ছাড়াও নির্বাচনের প্রস্তুতিতে আছেন ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ছগির আহমেদ, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মোহাম্মদ হোসাইন, কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাসরিন সুলতানা ঝরাও। তবে এদের মধ্যে ভোটারদের মাঝে সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে কেবল গাজী মজিবুর রহমানের। বাকিদের নৌকা প্রতীক ছাড়া ভোটে লড়াই করার মত জনপ্রিয়তায় নেই বলে মনে করেন স্থানীয়রা।