সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির রাজনীতিতে শক্ত অবস্থান তৈরি করে ফেলেছেন বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ।ফলে এখানকার রাজনীতিতে নড়বড়ে অবস্থা এখন সাবেক এমপি আতাউর রহমান আঙ্গুর ও তার ভাতিচা মাহামুদুর রহমান সুমনের রাজনীতি। কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদ থেকে সম্প্রতি ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পেয়েছেন আজাদ। ফলে পুরো জেলা বিএনপির রাজনীতি এখন আজাদের পেছনে।
স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজার) আসন থেকে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন পান নজরুল ইসলাম আজাদ। ওই নির্বাচনেও মনোনয়ন প্রত্যাশি ছিলেন বিএনপির সাবেক একাধিকবারের এমপি আতাউর রহমান আঙ্গুর ও কেন্দ্রীয বিএনপির সহ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মাহামুদুর রহমান সুমন। নির্বাচনের আজাদের ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে জোরালোভাবে কাজ করতে দেখা যায়নি চাচা ও ভাতিজাকে। নির্বাচনের পর তারা চাচা ভাতিজা রাজনীতি থেকে নীরব হয়ে যান। ২০২৪ সালের নির্বাচনের পূর্বে আবারো রাজনীতিতে সরব হোন চাচা ভাতিজা। কিন্তু এবার বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। নির্বাচনের পর আবারো নিরব হয়ে যান গেছেন চাচা আঙ্গুর ও ভাতিজা সুমন।
এরি মাঝে আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলোর একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রক এখন নজরুল ইসলাম আজাদ। উপজেলা বিএনপির সভাপতি ইউসুফ আলী ভুঁইা ও সাধারণ সম্পাদক জুয়েল হোসেন রাজনীতি করছেন নজরুল ইসলাম আজাদের নেতৃত্বে। ভিন্ন বলয় থেকে মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক পারভীন আক্তার বলয় শক্ত করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু চাচা ভাতিজাকে সেটাও করতে দেখা যাচ্ছেন না। যদিও ঈদ শেষে সুমনকে হাতে গোনা নেতাকর্মীদের নিয়ে ঈদ পূনর্মিলনী করতে দেখা গেছে মাত্র।
২৯ জুন শনিবার ঢাকায় বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মহাসমাবেশে আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপি ছাড়াও জেলা বিএনপির সঙ্গে শোডাউনে ছিলেন নজরুল ইসলাম আজাদ। কিন্তু দেখাও যায়নি আতাউর রহমান আঙ্গুর ও মাহামুদুর রহমান সুমনকে। এমনকি তাদের অনুগত নেতাকর্মীরাও সেই মহাসমাবেশে যোগদান করেছেন এমন খবর পাওয়া যায়নি। এভাবে ধীরে ধীরে আড়াইহাজারের বিএনপির রাজনীতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছেন আতাউর রহমান আঙ্গুর ও মাহামুদুর রহমান সুমন।