সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা সুরুজ মিয়া হত্যার বিচার এবং সন্ত্রাসীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে নিহতের পরিবার সহ এলাকাবাসী। এসময় তারা বিক্ষোভ মিছিল বের করে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরারর স্মারকলিপি প্রদান করেন।
৪ জুন বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে এলাকার সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে বৃষ্টি ভিজে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। পরে কয়েক হাজার নারী পুরুষ দুই কিলোমিটার রাস্তা পায়ে হেটে সন্ত্রাসী হীরা, সালুর ফাঁসির দাবির স্লোগান দিয়ে জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার এর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ফাতুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আইয়ুব আলী, সাধারণ সম্পাদক এমএ সাত্তার, আওয়ামী লীগ নেডা হারুন অর রশীদ, আওয়ামী লীগ নেতা মো: শহিদ, স্থানীয় মসজিদ কমিটির সভাপতি কামাল আহম্মেদ, কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার শামীম আহম্মেদ, এস এম মোক্তার, হাজী মতিউর রহমান, নিহত সুরুজ মিয়ার ছেলে যুবলীগ নেতা মুন্না আহম্মেদ, ছাত্রলীগ নেতা রিয়াজ উদ্দিন কবির প্রমুখ।
এদিকে মানববন্ধনে বক্তারা কাশিপুর ইউনিয়নের ভোলাইল শান্তিনগর এলাকার সন্ত্রাসী হীরা, সালু সহ তার বাহিনীর লোকজন শান্তিপ্রিয় এলাকাটিকে অশান্ত করে তুলেছে। তাদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পেতো না। যার কারনে হীরা, সালু বাহিনীর প্রতিনিয়ত বেপরোয়া হয়ে উঠে। তারা চাঁদাবাজি, দখলবাজি, লুটতোরাজ সহ সন্ত্রাসী কর্মজান্ডে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। সন্ত্রাসী হীরা ও সালুর বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এমনকি এই সন্ত্রাসী হীরা, সালু পুলিশের ওয়ারলেস ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। সন্ত্রাসী হীরা, সালু একেক মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর কিছুদিন জেলহাজত ভোগ করার পর আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বের হয়ে গিয়ে ফের সন্ত্রাসী কর্মকান্ত শুরু করে।
বক্তারা আরো বলেন, সন্ত্রাসী হীরা, সালু বাহিনীর অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় আওয়ামী লীগ নেতা সুরুজ মিয়াকে তাদের হাতে প্রান দিতে হলো। আওয়ামী লীগ নেতা সুরুজ মিয়াকে দিনদুপুরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে যেভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে সিসিটিভির ফুটেজ যে কেউ দেখলে হীরা, সালুকে গুলি করে মারবে।
মানববন্ধনে নিহতের ছেলে যুবলীগ নেতা মুন্না আহম্মেদ বক্তব্য দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তিনি বলেন, আমার বাবা কি এমন অপরাধ করেছিল তাকে সন্ত্রাসী হীরা, সালু নির্মম ভাবে কুপিয়ে হত্যা করলো। আমার দুইটা ভাইকেও যেভাবে কুপিয়েছে তারা এখনো মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আর আমার বাবার হত্যাকারী হীরা সহ বেশ কয়েকজন আটক করা হলেও এখনো সালু ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে। সালুর মত এমন ভয়ংকর সন্ত্রাসীকে যদি ক্রয়সফায়ার না দেয়া হয় তাহলে আমার বাবার হত আরো কত মায়ের বুক খালি হবে তা এক আল্লাহ ছাড়া কেউ বলতে পারে না। যারা আবেদনের মাধ্যমে ক্রয়সফায়ার বন্ধ করে রাখা হয়েছে তাদের দুইটা পায়ে ধরি এখনো সময় আছে সন্ত্রাসী সালুকে ক্রয়সফায়ার দিয়ে শত শত লোকের প্রান ভিক্ষা দেন।