সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, নারায়ণগঞ্জ জেলার উদ্যোগে জেলায় ক্রমবর্ধমান ধর্ষণ, দলগত ধর্ষণ, ধর্ষণের চেষ্টা, অপহরণ, গরম পানি ঢেলে গা ঝলসিয়ে দেয়া, উত্ত্যক্তকরণ ও হত্যাসহ নারীর প্রতি সকল প্রকার সহিংসতার প্রতিবাদে ও বিচারের দাবিতে এক মানববন্ধন প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার ১৬ জুলাই বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ’র কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও জেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা লক্ষ্মী চক্রবর্তী।
মানববন্ধনে বক্তব্য প্রদান করেন- সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মঞ্জুশ্রী নিয়োগী, সাধারন সম্পাদক এড্ হাসিনা পারভীন, সহ-সাধারন সম্পাদক রহিমা খাতুন, সংগঠন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রীতিকনা দাস, লিগ্যাল এইড সম্পাদক সাহানারা বেগম, আন্দোলন সম্পাদক শোভা সাহা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ আজ উন্নত দেশের তালিকায়। কিসের ভিত্তিতে? শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেই হবে না। নাগরিক অধিকারসমুহ- জনগণের জানমালের নিরাপত্তা, মানুষ হিসেবে নারী-পুরুষের সমমর্যাদা ও নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা, খাদ্য-বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থানের সুব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ। কিন্তু ডিজিটাল বাংলাদেশে আজ কি হচ্ছে? ধর্ষণ, দলগত ধর্ষণ, ধর্ষণের চেষ্টা, অপহরণ, গরম পানি ঢেলে গা ঝলসিয়ে দেয়া, উত্ত্যক্তকরণ ও হত্যাসহ নারীর প্রতি সকল প্রকার সহিংসতা নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশে ক্রমবর্ধমান হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডিজিটাল সুবিধার অপব্যবহার করে নারীর গোপন ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। কিন্তু ধর্ষণ বা ডিজিটাল অপরাধের একটি মামলারও দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক বিচার ও শাস্তি না হওয়ায় অপরাধীরা উৎসাহিত হয়ে আরো অপরাধ করেই চলেছে। নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার, রূপগঞ্জ, বন্দর ও ফতুল্লায় এসব অপরাধ ও নির্যাতন বেড়েই চলেছে। এ দায় কার? এ দায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন ও বিচার বিভাগকেই নিতে হবে। অনেক সময় অবিবেচক ক্ষমতাবান কিছু মানুষ নারীদের পোশাকের দিকে আঙ্গুল তুলেন। তাদের বলতে চাই- ২/৩ বছরের মেয়ে শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ নারীও ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। তখন আপনারা জেগে জেগে ঘুমান আর অপরাধীদের উৎসাহিত করেন।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এসব ঘটনার দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছে। যাতে কেউ এই অপরাধ করার সাহস না পায়। মানুষের মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হয়। মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন জেলা, শহর ও পাড়া কমিটি অর্ধশতাধিক সদস্য।