ডেস্ক রিপোর্ট, সান নারায়ণগঞ্জ
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘাতের সময় বাড়িতে, বাড়ির আঙিনায় ও পরিবারের সঙ্গে থাকা অবস্থায় গুলিতে নিহত শিশুদের প্রতিটি পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনা চেয়ে রিট হয়েছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. তৈমূর আলম খন্দকার গত ৩১ জুলাই বুধবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেন।
‘জানালায় দাঁড়াতেই গুলি এসে কেড়ে নিল শিশুটিকে’, ‘বাসার ছাদে বাবার কোলে ঢলে পড়ে ছোট্ট মেয়েটি’ এবং ‘বারান্দায় দাঁড়ানো আহাদের ডান চোখে লাগে গুলি’ শিরোনামে প্রথম আলোতে প্রকাশিত এবং ‘ফুল হয়ে ফোটার আগে ঝরল ওরা’ শিরোনামে অপর একটি দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করা হয়েছে রিটে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তৈমুর আলম খন্দকার আবেদনকারী হয়ে রিটটি করেছেন। পরে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বাড়িতে, বাড়ির আঙিনায় ও পরিবারের সঙ্গে থাকা অবস্থায় গুলিতে নিহত শিশুদের প্রতিটি পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা করে দিতে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে। শুনানির জন্য রিটটি পরদিন বৃহস্পতিবার হা্ইকোর্টে উপস্থাপন করা হবে।
রিটের প্রার্থনায় দেখা যায়, বাড়িতে, বাড়ির আঙিনায় ও পরিবারের সঙ্গে থাকা অবস্থায় গুলিতে শিশুদের মৃত্যুর কারণ ও দায়ীদের চিহ্নিত করতে অবিলম্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠনে করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে। গুলিতে নিহত শিশুদের প্রতিটি পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে এক কোটি টাকা করে দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, এ বিষয়েও রুল চাওয়া হয়েছে। রুল হলে তা বিচারাধীন অবস্থায় গুলিতে নিহত শিশুদের প্রতিটি পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা করে দিতে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে। স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ সাতজনকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
সূত্র: প্রথম আলো