শেখ হাসিনা ও শামীম ওসমানের বিচারের দাবিতে মহানগর যুবদলের মিছিল

ডেস্ক রিপোর্ট, সান নারায়ণগঞ্জ

ছাত্র জনতার উপর গুলি চালিয়ে হত্যার দায়ে শেখ হাসিনা এবং শামীম ওসমান সহ তাদের দোসরদের বিচারের আওতায় এনে ফাঁসির দাবিতে দিন ব্যাপি অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি। একই সঙ্গে মহানগর বিএনপি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশও করেছে। ১৪ আগস্ট বুধবার সকাল থেকে মহানগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে নেতাকর্মীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করে বিকেল ৩টার দিকে নগরীর হোসিয়ারী সমিতির সামনে একত্রিত হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত পরিসরে সমাবেশ করে মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

ওই কর্মসূচিতে মিছিল নিয়ে যোগদান করেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদল। বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীদের নিয়ে মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধান ও সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ শোডাউন করে মহানগর বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে যোগদান করেন। এ সময় মহানগর যুবদল ও এর আওতাধীন বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন এবং পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শামীম ওসমানের শাস্তির দাবিতে নানা শ্লোগান দেন।

ওই সমাবেশে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান এর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠান বক্তব্য রাখেন- মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির, মনির হোসেন খান, সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধান, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধান, মহানগর মহিলা দলের সভাপতি দিলারা মাসুদ ময়না প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, গত ৫ আগস্ট এই দেশের ছাত্র-জনতা ১৫ বছরের স্বৈরশাসকের অবসান ঘটিয়েছে। এই আন্দোলনের সময় নারায়ণগঞ্জকে মৃত্যুপুরিতে রূপান্তরিত করা হয়েছিলো। ওই বন্দরের সজলকে শামীম ওসমানের নেতৃত্বে রাজপথে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। শামীম ওসমান ও তার বাহিনী কিভাবে পুরো জেলায় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়েছে, এটা নারায়ণগঞ্জের মানুষ দেখেছে। এই সকল হত্যার বিচারের জন্য শামীম ওসমান, সেলিম ওসমান, আজমেরি ওসমান, অয়ন ওসমান ও শাহ্ নিজামসহ তাদের দোসরদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। শেখ হাসিনা ও শামীম ওসমানের হাতে রক্তের গন্ধ। সেই রক্ত এই দেশের ছাত্র-জনতার। এই রক্তের গন্ধ এই দেশের মানুষ ভুলবে না। যারা বেশি লাফাচ্ছেন, ১৫ই আগস্ট করবেন, রাস্তায় নামবেন; সেই স্বপ্ন ভুলে যান। আপনাদের জায়গা হবে জেলখানায়।

এসময় অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, আমরা নারায়ণগঞ্জের গডফাদার শামীম ওসমানকে রুখে দাঁড়াবো। আমরা আওয়ামী লীগ মুক্ত-শেখ হাসিনা মুক্ত বাংলাদেশ চাই। আমরা শামীম ওসমান, সেলিম ওসমান তথা ওসমান পরিবার মুক্ত নারায়ণগঞ্জ চাই। আগামীকাল সকাল ৮টা থেকে নারায়ণগঞ্জে প্রতিটা পাড়া মহল্লায় ও ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে বিএনপির নেতাকর্মীরা অবস্থান করবেন, মিছিল করবেন। কোন জেলায় ১৫ আগস্ট কর্মসূচি থাকতে পারবে না। কারণ ১৫ আগস্ট বিএনপির জন্য আশীর্বাদ, কারণ ১৫ আগস্ট যদি ওই খুনি শেখ মুজিবরের পতন না হতো তাহলে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব রক্ষা হতো না। তেমনি খুনি হাসিনা মুক্ত বাংলাদেশ চাই।

সমাবেশ শেষে বিশাল এক মিছিল নিয়ে নগরীর বঙ্গবন্ধু সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপস্থিত নেতাকর্মীরা। মিছিলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক এমপি শামীম ওসমানের ফাসির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। কর্মসুচিতে হাজার হাজার নেতাকর্মীদের উপস্থিতি ছিল। মহানগর বিএনপি সহ এর আওতাধীন বিভিন্ন থানা ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা খন্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে অবস্থান কর্মসূচিতে যোগদান করেন।