সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রায় ১৬ থেকে ১৭ বছর ক্ষমতার বাহিরে ছিল বিএনপি। এরি মাঝে নারায়ণগঞ্জে লাখ লাখ নেতাকর্মী বিভিন্ন মামলায় আসামী হয়েছেন। রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে মামলা মামলা জেল জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বিভিন্ন এলাকার নেতাকর্মীদের ডেকে ডেকেও বিএনপির কর্মসূচিতে আনা যায়নি। অনেক নেতাকর্মীদের পদ পদবী দিতে চাইলেও নিতে চায়নি। অনেকে আবার বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে চলেছেন ঠিকি কিন্তু দলের কমিটিতে থাকতে চাননি। উল্টো বিএনপি নিয়ে নানা কটাক্ষ করতেন।
গত ৫ আগস্ট দুপুরের পর থেকে বিএনপির পরিস্থিতি পাল্টে যেতে থাকে। যারা গত ১৭ বছরেও কোনা মিছিল করেনি তারাই আবার দলের কর্মসূচিতে সামনের সারিতে চলে আসছেন। যারা ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপির ক্ষমতা ভোগ দখল করেছেন তারা আবারো সক্রিয়ে হয়েছেন মাঠে। তাদের ধাক্কায় ব্যানারের সামনে দাঁড়াতে পারছেনা ত্যাগী নির্যাতিত নেতাকর্মীরা। ৫ আগস্টের পর দলের কর্মসূচিগুলোতে সামনের সারিতে কিংবা দ্বিতীয় সারিতেও দাঁড়াতে রীতিমত যুদ্ধ করতে হচ্ছে ত্যাগীদের। সুবিধাবাদীরা এমন ভাব নিচ্ছেন যেনো তারাই ৫ তারিখে শেখ হাসিনার পতন ঘটিয়েছেন।
কিন্তু যারা বছরের পর বছর বাড়িছাড়া, আত্মগোপনে, মিছিল মিটিং করতে গিয়ে মামলা হামলা নির্যাতনের শিকার হলেন, আওয়ামীলীগ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করলেন, এখন তাদেরকে নতুন করে লড়াই করতে হবে সুবিধাবাদীদের বিরুদ্ধে। এসব সুবিধাবাদদের আবার শেল্টার দিচ্ছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। কারন হটাত করেই তারা তেলবাজিতে পটু হয়ে পড়েছেন। রাজপথের ত্যাগী নেতাকর্মীরা কারো তেলবাজি করেনা, তারা স্পষ্টভাষী। কিন্তু সুবিধাবাদীরা তেলবাজিতে পারদর্শী। যে কারনে শীর্ষ নেতারাও তেলবাজদের প্রতি খুশি। এই স্বল্প কদিনেই ত্যাগীরা যেনো বিতাড়িত হতে বসেছেন। ক্ষমতায় আসার আগেই যখন বিএনপির নির্যাতিত ত্যাগী নেতাকর্মীরা বিএনপির ব্যানারের সামনে দাঁড়াতে পারছেন না, তবে ক্ষমতায় আসলে তাদের কি হবে সেটা দেখার অপেক্ষা মাত্র। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করেন, সুবিধাবাদীদের এখনি দমাতে না পারলে ক্ষতিগ্রস্থ হবে বিএনপি।