শামীম ওসমান, অয়ন ওসমান ও আজমেরী ওসমানের কঠোর শাস্তি চায় মহানগর বিএনপি

ডেস্ক রিপোর্ট, সান নারায়ণগঞ্জ

ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়ে গণহত্যাকারী শেখ হাসিনাসহ তার খুনি দোসরদের বিচারের দাবিতে দু’দিনের কর্মসূচি শেষদিনে বিচার ও ফাঁসির দাবিতে মহানগরীতে অবস্থান কর্মসূচি ও মিছিল করেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি।

১৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটার দিকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা শেখ হাসিনার বিচার ও ফাঁসির দাবি জানিয়ে শ্লোগানে শ্লোগানে মিশনপাড়া হোসিয়ারি সমিতির সামনে মহানগর বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে এসে জড়ো হতে থাকে।

পরে বিকেল চারটার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরে মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি চাষাড়া চত্বর হয়ে বিবি সড়ক দিয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।

এসময়ে মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা শ্লোগান দেয় ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই, আওয়ামী লীগের দালালেরা হুশিয়ার সাবধান ” শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো শহর।

এ সময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, আপনারা জানেন এই শেখ হাসিনার সরকার ছিল এই সরকার ছিল খুনি ও দুর্নীতিবাজ। খুনি হাসিনা ক্ষমতার টিকে থাকার জন্য হাজার হাজার ছাত্র জনতাকে গুলি করে হত্যা করেছে। পুরো দেশকে সে রক্তে রঞ্জিত করে ফেলেছিল রক্তের দাগ এখনো শুকাই নাই। তার বিচার হবে বলে সে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। আমরাই অন্তবর্তী কালি সরকারের কাছে বলতে চাই গণতন্ত্র হত্যাকারী ও ছাত্র-জনতা হত্যাকারী খুনি হাসিনা ও দোসরদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য। নারায়ণগঞ্জের ছাত্র জনতার উপর সন্ত্রাসী শামীম ওসমান ও তার পুত্র অয়ন ওসমান এবং ভাতিজা আজমেরী ওসমানসহ তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীরা নির্বিচারে গুলি চালিয়ে আমাদের যুবদল নেতা স্বজনসহ কয়েকজনকে হত্যা ও শত শত ছাত্র-জনতাকে আহত করেছে।

তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জ ক্লাব রাইফেল ক্লাব, পাসপোর্ট অফিস, পিপিআই অফিস ও শীতল বাসে কারা আগুন দিয়েছে। তারা এই সকল করে পুলিশকে দিয়ে ছাত্র-জনতাকে খেপিয়ে তুলে দিয়েছিল। জ্বালাও পুরাও ওর মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে সফল করা হয়েছিল।

নারায়ণগঞ্জ ক্লাবসহ যে সকল হামলা লুট ও অগ্নিসন্ত্রাস হয়েছে এগুলো কারা আমরা কাউকে চিনি না তারা হলো আওয়ামী লীগ ও শামীম ওসমানের লেলিয়ে দেওয়া টোকাই ও সন্ত্রাসী বাহিনী। এই খুনি শামীম ওসমানসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনীদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। যারা এই অপকর্ম ও অগ্নি সন্ত্রাস করেছেন দুই একদিনের ভিতর বুঝতে পারবেন। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আর কেউ যদি বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করেন তাহলে তাকে প্রতিহত করা হবে। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ডাক দিয়ে এদেশকে স্বাধীন করেছিলেন। আর দ্বিতীয় স্বাধীন যুদ্ধের ডাক দিয়েছিলেন তারুণ্যের অহংকার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আমরা শহীদ জিয়াউর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশ ও তারেক জিয়ার স্বাধীন বাংলাদেশে কোন ষড়যন্ত্রকারীর হাতে তুলে দিতে পারি না।

আমরা আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশের দীর্ঘ ১৭ টি বছর রাজপথে ছিলাম। যখন কোটার জন্য বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়েছে তখন আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছিল রাজপথে থাকার জন্য। আমরা কিন্তু রাজপথে এখনো আছি। শুধু আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী গডফাদার খুনি শেখ হাসিনা ও শামীম ওসমানকে বলতে চাই আমরা শান্ত আছি আমাদেরকে শান্ত থাকতে দেন।

নারায়ণগঞ্জবাসী তথা বাংলাদেশের মানুষকে শান্তিতে ঘুমাতে দেন। খুনি হাসিনা আপনি শান্ত বাংলাদেশকে অশান্তি করার চেষ্টা করবেন না। হিন্দু মুসলিম এদের মধ্যে দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করবেন না। আপনি যা চাচ্ছেন তা আর হবে না কারণ বাংলাদেশের ২০ কোটি মানুষ আপনাকে দেশ থেকে বিতাড়িত করে দিয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুর নেতৃত্বে এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুগ্ম মনির হোসেন খান, আনোয়ার হোসেন আনু, ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধান, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, সাধারণ সম্পাদক হারুন উর রশিদ লিটন, বন্দর থানা বিএনপি’র সভাপতি শাহেন শাহ্ আহমেদ, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধান, সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাখাওয়াত ইসলাম রানা, সদস্য সচিব মমিনুর রহমান বাবু, মহানগর শ্রমিকদলের আহ্বায়ক এস এম আসলাম, সদস্য সচিব ফারুক হোসেন, বিএনপি নেতা চঞ্চল মাহমুদ, মহিউদ্দিন শিশির, আল আমিন প্রধান, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহাদুল্লাহ মুকুল, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, গোগনগর বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন মিয়াজী, আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আঃ রহমান, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তাঁরা মিয়া, সাধারণ সম্পাদক শাহিন আহমেদ, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহিদ খন্দকার, সাধারণ সম্পাদক মহসিন মিয়া, মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মামুন ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক শাহেন শাহ্ মিঠু, বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রাজু আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, মহানগর মহিলা দলের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না, মহানগর ছাত্রদলের ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহাজাদা আলম রতন, মহানগর ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ মামুনসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।