নৌকা মার্কার দুই ধনাঢ্য চেয়ারম্যানের প্রতি বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সুদৃষ্টি!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন দুই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন ও মনিরুল আলম সেন্টু। এই সরকারের আমলে তারা আওযামীলীগ সরকারের হয়ে বৈধ অবৈধ নানান ব্যবসা বানিজ্য করে অঢেল ধন সম্পদের মালিক বনে গেছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে ধনাঢ্য দুই চেয়ারম্যানের প্রতি বিএনপির শীর্ষ নেতাদের রহস্যজনক কদর দেখা যাচ্ছে। কেউ কেউ মনে করছেন বিশেষ সুবিধায় বিএনপির জেলা ও মহানগরীর নেতারা ম্যানেজ হয়ে গেছেন। এমন খবর নিয়ে নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় একটি পত্রিকায় সংবাদও প্রকাশিত হয়েছে। বৈষস্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের তারা বিরোধীতা করলেও তাদের দিকেই কেন বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সুদৃষ্টি সেটা নিয়ে বিরাট প্রশ্ন।

স্থানীয়রা জানান, বিএনপি জামাত জোট সরকার আমলে ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মনিরুল আলম সেন্টু। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর শিল্পপতি শাহআলমকে সভাপতি ও আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাসকে সাধারণ সম্পাদক করে থানা কমিটি ঘোষণা করে জেলা বিএনপি। এই কমিটিতেও সেন্টুকে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে রাখা হয়। এরি মাঝে তিনি বিএনপির সমর্থন নিয়ে কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হোন। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর তাকে ধানের শীষ প্রতীক দিতে চাইলেও তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন। তাকে দল থেকে অব্যাহতিও দেয়া হয়। গত নির্বাচনে তিনি সরাসরি নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামীলীগে যোগদান করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হোন।

আওয়ামীলীগ সরকারের আমলেই পলাতক শামীম ওসমানের সেকেন্ড ইন কমান্ড শাহ নিজামের সঙ্গে ফতুল্লার বিভিন্ন সেক্টর নিয়ন্ত্রণ করেন। তাদের অবৈধ টাকার ভাগবাটোয়ারা হতো নাসিম ওসমান মেমোরিয়াল পার্কে বসে। গভীর রাত পর্যন্ত তারা অবৈধ লেনদেন করতেন। সেই সেন্টু গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পরেও প্রকাশ্যে রাজনীতি করে যাচ্ছেন। বিএনপির লোকজনদের নিজের কাছে টানার চেষ্টা করছেন। তার কুতুবপুর এলাকায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর তার সন্ত্রাসী বাহিনীর লোকজন হামলা চালালেও তার বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা দেখা যাচ্ছে না। উল্টো বিএনপির জেলা ও মহানগরীর নেতারা যেনো তার প্রতি সুদৃষ্টি রেখে বসে আছেন।

এদিকে অঢেল ধঘন সম্পদের মালিক বনে গেছেন এই সরকারের আমলেই জাকির হোসেন। এক সময় অবৈধ ঘি এর ব্যবসা করতেন বলে তাকে সবাই ঘি জাকির নামেই ডাকেন। তিনি আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান জাকির হোসেন। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রথমে নৌকা প্রতীক দেয়া হয় সাবেক চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতিকে। রহস্যজনক কারনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান মতি। তিনি নিজেকে অসুস্থ্য দাবি করেন। পূনরায় দ্বিতীয় দফায় নৌকা প্রতীক বরাদ্দে নৌকা প্রতীক পান জাকির হোসেন। ওই সময় এলাকায় জাকির ভোটের প্রচারণায় প্রকাশ্যে ঘোষণা করতেন শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমানকে দশ কোটি টাকা দিয়ে তিনি নৌকা প্রতীক এনেছেন। নির্বাচনে তাকে কোনো কোনো কেন্দ্রে ৯৮ ভাগ ভোট কাস্টিং দেখিয়ে পাস করানো হয়। সেই জাকিরের প্রতিও বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সুদৃষ্টি। শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে জাকির অবস্থান নিয়েছেন এবং সরকারের মদদপুষ্ট সে। অথচ ধনকুবের জাকিরের পক্ষেই যেনো বিএনপি।