নারায়ণগঞ্জে নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে সংগঠকদের সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি বিষয়ক প্রশিক্ষণ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, নারায়ণগঞ্জ জেলার প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও পাঠাগার উপ-পরিষদের উদ্যোগে নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে সংগঠকদের সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি বিষয়ক প্রশিক্ষণ ২১ আগস্ট বুধবার সকাল ১১টায় সংগঠনের জেলা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

প্রশিক্ষণে জেলা সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি লক্ষ্মী চক্রবর্তী সভাপতিত্ব করেন। পরিচালনা ও শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন জেলা সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হাসিনা পারভীন।

এরপরে সুশাসন ও গণতন্ত্র এবং নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করেন জেলার সহ-সভাপতি ও কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও পাঠাগার সম্পাদক রীনা আহমেদ, ঘোষণাপত্র ও গঠনতন্ত্র এবং বাস্তব কাজের ধারা বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করেন জেলা সংগঠন সম্পাদক প্রীতিকণা দাস।

হাউজরুল ও প্রত্যাশা চয়ন পর্ব করেন প্রোগ্রাম এক্সিকিউটিভ সুজাতা আফরোজ। অংশগ্রহণ কারীদের মধ্যে মতামত ব্যক্ত করেন সদস্য করিমুন নেছা, সীমা হক, কাওছার আক্তার পান্না, নীলা আহমেদ, তিথি সুর্বণা, পল্লবী প্রত্যাশা, নুসরাত নুপুর প্রমূখ।

বক্তারা বলেন- নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা ও গনতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র, সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৭০ সালের ৪ এপ্রিল বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ গড়ে উঠে। সকল সদস্যকে সংগঠনের ঘোষণাপত্র ও গঠনতন্ত্র পড়তে হবে ও ধারন করতে হবে।দেশের এই ক্রান্তিকালে গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা অত্যন্ত জরুরি। গণতন্ত্রের কথা বলে দলীয় সরকারগুলো সব সময় দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে। ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে এর অবসান চাই। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত ৫৩ বছর ধরে সংগঠনটি বিভিন্ন ইস্যুতে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলার নারী আন্দোলনসহ সকল জাতীয় আন্দোলনে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, দূর্নীতি দমন ও বাক স্বাধীনতা ও জন নিরাপত্তা প্রদান, নারী-পুরুষের বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে জেন্ডার সমতা, দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তন, সচেতনতা বৃদ্ধি, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ, শিক্ষা-স্বাস্থ্য, নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন ও অর্থনৈতিক মুক্তি, সম্পত্তিতে সম-অধিকার প্রতিষ্ঠা, সিডও সনদের বাস্তবায়ন, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ প্রভৃতি বিষয়ে আজ পর্যন্ত আন্দোলন করে চলেছে। হিন্দু-মুসলিম, বৌদ্ধ-খৃষ্টান সকল সম্প্রদায়ের এক ও অভিন্ন পারিবারিক আইন চালু করতে হবে। বিবাহ ও তালাক সংক্রান্ত আইন, সম্পত্তি আইন সব সম্প্রদায়ের এক হওয়া জরুরী। এভাবেই সংগঠনটি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এগিয়ে চলেছে। সমাজ ও রাষ্ট্রের সকল পর্যায়ের আস্থা ও গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

জেলার নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- লিগ্যাল এইড সম্পাদক সাহানারা বেগম, আন্দোলন সম্পাদক শোভা সাহা, সিনিয়র সদস্য কমলা দে, রাশিদা বেগম। অনুষ্ঠানে জেলা ও শহর কমিটির ২৫ সদস্য অংশগ্রহণ করেন।