সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন ৪ আগস্ট বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ কাঁচপুর বিসিক এলাকায় আসিক (২০) নামের এক শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামী করে ১২২ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় ২০০ থেকে ৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। এই মামলায় আসামী করা হয়েছে সাবেক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাস্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, আইনমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতেকে।
সোনারগাঁ থানা পুলিশ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন কাঁচপুর বিসিক এলাকায় মক্কা নামক একটি ফ্যাক্টরীতে কর্মরত শ্রমিক আশিক হত্যার ঘটনায় নিহত আশিকের মা কুলসুম বেগম বাদী হয়ে ২২ আগস্ট বৃহস্পতিবার রাতে মামলাটি দায়ের করেছেন।
এই মামলার অন্য আসামীরা হলেন. এ.কে.এম শামীম ওসমান, অয়ন ওসমান, আজমেরী ওসমান, মোঃ মতিন খান, গোলাম দস্তগীর গাজী, মোঃ মাহফুজুর রহমান কালাম, ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাছুম, মোঃ রফিকুল ইসলাম নান্নু, সোহাগ রনি, মোশারফ হোসেন, বাবুল ওমর বাবু, মোঃ মাহবুব খাঁন, নুরে আলম খান, মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম, লিয়াকত হোসেন খোকা, আলী হায়দার, অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলাম ভূইয়া, ডাঃ আবু জাফর চৌধুরী বিরু, নজরুল ইসলাম বাবু, লিটন খান, ফয়সাল খান, রাসেল, মোঃ মাসু, রিপন খান, মাসুদ খান, রাসেল মিয়া, রুপালী খান, রিপন খান, হাসান খান, আমান খান, মমিন উল্লা খান, শাহা আলম খান, জাকির খান, মোঃ বাবুল, আবুল খায়ের, আশফাক, মনির নেতা, মনির হোসেন, জাকির হোসেন, শাহ আলম (,মাহবুব পারভেজ, মামুন প্রধান, মোশারফ প্রধান, মোঃ জাকির হোসেন, মোঃ নাছির, শাহজাহান মেম্বার, মোঃ কবির হোসেন মেম্বার, দুলাল হোসেন, আলাউদ্দিন, মোঃ মাহাবুব, মোঃ মহিন, মতিউর রহমান, জিহাদ খান, মোঃ রিসান, তোফাজ্জল হোসেন তুফু সহ ১২২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরো প্রায় ২০০/৩০০ জন।
মামলায় বাদি উল্লেখ করেন, গত ৪ আগষ্ট বিকেলে দুষ্কৃতিকারীরা ১নং থেকে ১১নং আসামীগণের নির্দেশে ছাত্রজনতাকে হত্যার উদ্দ্যেশে এলোপাথারী গুলি ও আক্রমন করার নির্দেশ প্রদান করিলে অন্যান্য আসামীগণ রাস্তায় অবস্থানরত ছাত্র জনতার উপর নেতাকর্মীরা এক জোট হয়ে অগ্নেয়াস্ত্র, পিস্তল, শটগান, ককটেল, লাটি, সোটা, ইট পাটকেল, রাম দা ইত্যাদিতে সজ্জীত হয়ে সোনারগাঁ থানাধীন কাঁচপুর সাকিনহ্ ঢাকা সিলেট মহাসড়কে কাঁচপুর উত্তর পাশে অবস্থিত সিনহা মিলের অপর পাশে কলাপট্টি ওভার ব্রীজের নিচে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং এলোপাথারী রাম দা দিয়ে আঘাত করে ককটেল বিস্ফোরন গোলাগুলি শুরু করলে উভয় পক্ষের সংঘর্ষের এক পর্যায় আমার পুত্র নিহত আশিক মিয়া সহ ১৫-২০ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পরেন। পরে স্থানীয়র্ উদ্ধার করে নিকটবর্তী বারাকাহ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে অবস্থা অবনতি হলে তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হস্থান্তর করা হয়। পরবর্তীতে বিগত ০৫/০৮/২০২৪ ইং তারিখে সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশিক মৃত্যুবরন করে।