সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার এনায়েতনগর ইউনিয়নের হরিহরপাড়া এলাকায় যৌতুকের দাবিতে দুই সন্তানের জননী সোবাহানা সেফা রাফিকে মারধর করার অভিযোগ ওঠেছে স্বামী রাহাদ খানের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে রাফি বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় রাহাদ ও তার বাবা মায়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। এই মামলায় শ^শুর জাহাঙ্গীর হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ মামলা সূত্রে, ফতুল্লা থানাধীন ভূইগড় উত্তরপাড়া এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলীর মেয়ে সোবাহানা সেফা রাফির সঙ্গে ৮ বছর আগে ইসলামের শরীয়াহ মোতাবেক রাহাদ হোসেন খানের বিয়ে হয়। রাহাদ হোসেন খান ফতুল্লার এনায়েতনগর হরিহরপাড়া এলাকার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন খানের ছেলে। বিয়ের পর তাদের দাম্পত্য জীবনে দুইটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। বড় মেয়ে ৫ বছরের রাইসা ও ছোট্ট মেয়ে ২ বছরের রামিজা।
অভিযোগ করা হয়- তারা শুরুতে সুখী পরিবার হলেও রাহাদ খান তার মা বাবার ইন্ধনে স্ত্রী রাফিকে নিয়মিত যৌতুকের দাবীতে মারপিট করে আসছে। এই নিয়ে বেশ কয়েকবার শালিস বৈঠক হলেও তাদের নির্যাতনের মাত্রা কমেনি। তারা যৌতুকের জন্য চাপ সৃষ্টি করে আসছে। ফলে রাফি নারায়ণগঞ্জ আদালতে গিয়ে মামলা করলে এই মামলায় জামিনে বের হয়ে তারা মিমাংসায় আসে। মিমাংসা শেষ হবার পরেই আবার সেই পূর্বের ন্যায় নির্যাতন করে আসছে। রাহাদ খান তার বাবা মায়ের ইন্ধনে দুই কন্যাকে রাফির কাছ থেকে নিয়ে আসে হরিহরপাড়া তাদের বাসায়।
এ নিয়ে গত ২৩ এপ্রিল দুপুরে এই সন্তানদের মা রাফি দেখতে গেলে যৌতুকের জন্য মারপিট করে স্বামী রাহাদ ও তার মা নূরজাহান বেগম, শ্বশুর জাহাঙ্গীর হোসেন গংরা। পরে ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করলে ফতুল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসলাম হোসেন ঐ রাহাদ ও তার বাবা মায়ের বিরুদ্ধে মামলা নেয়। আরও অভিযোগ- রাফির কোলের সন্তানকেও আটক করে রেখেছে স্বামী রাহাদ। মায়ের সাথে সন্তানদের দেখা করতে দেয়না।