যুবদল নেতা সুজনকে হত্যার উদ্দেশ্যে কাউন্সিলর আশার নেতৃত্বে অস্ত্রসস্ত্রে মহড়া

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনে শিক্ষার্থী নিহতের ঘ্টনায় দায়েরকৃত হত্যা মামলার আসামী সৌরভকে সঙ্গে নিয়ে বন্দর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সভাপতি প্রার্থী সম্রাট হাসান সুজনকে হত্যাচেষ্টায় মহড়া দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশা। এমন অভিযোগ করেছেন উপজেলা যুবদল ও বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ সংক্রান্ত ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে কাউন্সিলর আশাকে তার লোকজন নিয়ে মহড়া দিতে দেখা যায়।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, বন্দর থানা যুবলীগের নেতা ও থানা চাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খান মাসুদের সহযোগী নূর হোসেন বন্দর উপজেলায় জমিজমা কেনাবেচা ও বালু দিয়ে জোরপূর্বক অসহায় মানুষের জমি ভরাট করে আসছিল। একই সঙ্গে নূর হোসেন ড্রেজার নিয়ন্ত্রণ করে আসছিল। নূর হোসেন বিগত সময়ে আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির হয়ে কাজ করেছিল এবং বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলায় নামের তালিকা দিতো।

কিন্তু গত ৫ আগস্টের পর থেকে নূর হোসেন নিজেকে বিএনপির কর্মী দাবি প্রচারণা চালাতে থাকে। এ বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মীরা মেনে নিতে পারেনি। মুলত পুণরায় বিএনপির লেভাস লাগিয়ে ড্রেজার ও জমিদখলবাজি চালিয়ে যেতে সে এই কৌশল নেয়। এ নিয়ে চরম বিরোধীতা করেন সম্রাট হাসান সুজন। এর জের ধরে সুজনকে ঠেকাতে নূর হোসেন ভর করে আবুল কাউসার আশার উপর। সঙ্গ দিচ্ছেন হত্যা মামলার আসামী সৌরভও।

এই বিরোধের জের ধরে ৩০ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে কাউন্সিলর আশার নেতৃত্বে হত্যা মামলার আসামী সৌরভ, নূর হোসেন, নুর হোসেনের ভাই আনসার আলী সহ কয়েকশ বাহিনীর সদস্য দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সম্রাট হাসান সুজনের বন্দর ইউনিয়নের ভদ্রাসনে এলাকার বাড়িতে যান। কয়েক দফা মহড়া দেয় বাহিনীটি। সুজনের বাড়ির সামনে দীর্ঘক্ষণ অবস্থানও করেছিল তারা। কিন্তু সুজন ওই সময় বাড়িতে ছিলেন না। শুক্রবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত সুজনকে হত্যাচেষ্টায় কয়েক দফা হত্যাচেষ্টায় মহড়া দিয়েছে তারা।

অন্যদিকে নূর হোসেনকে দিয়ে সম্রাট হাসান সুজনের বিরুদ্ধে স্থানীয় গণমাধ্যমে বক্তব্য দেয়ার বিষয়ে কাউন্সিলর আশাকেই দায়ী করেছেন সুজন। এসবের পরিকল্পনাকারী হিসেবেও আশার বিরুদ্ধে তার অভিযোগ। নূর হোসেন মিডিয়াতে মহানগর বিএনপির একজন শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার বিষয়টিও আশার শিখিয়ে দেয়া বলেও সজুনের দাবি। আশার উপর ভর করে খান মাসুদের সহযোগী নূর হোসেন নতুন করে তার সাম্রাজ্য ঠিক রাখতে এসব বিতর্কিত কর্মকান্ড করে যাচ্ছে।