বন্দরের দিউলি চৌরাপাড়ার সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে এসপি বরাবর অভিযোগ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বন্দরের দুর্ধর্ষ ও ভয়ংকর সন্ত্রাসী আনার,নাইম, মামুন, শিল্পী বাহিনীর কবল থেকে মুক্তি পেতে পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন হুমায়ূন কবির (৫৪)নামে এক ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের সদস্যরা। ৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সশরীরে গিয়ে তারা ওই অভিযোগটি দাখিল করেন।

অভিযোগে উল্লেখ করেন। বন্দরের ৩৪নং ওয়ার্ডের দেউলি চৌরাপাড়া এলাকার মৃত সৈয়দ আলী বেপারীর ছেলে হুমাযূন কবির তার অভিযোগে উল্লেখ করেন,ওই এলাকার ফরিদ মিয়ার ছেলে আনোয়ার ওরফে আনার, বাবুল মিয়ার ছেলে নাইম,মামুন,মোমিন মিয়ার মেয়ে স্বর্ণা,আলমাছ মিয়ার মেয়ে মনোয়ারা, মৃত ফরিদ মিয়ার স্ত্রী শিল্পী, হাবিব মিয়ার মেয়ে রোজিনা,ইয়ানূছ মিয়ার ছেলে কুদ্দুস, মোসলেউদ্দিন মিয়ার ছেলে জসিম, শাওনসহ অজ্ঞাতামা আরো ৪০/৫০জনের একটি সংঘবদ্ধ দল তার পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ৭ শতাংশ সম্পত্তি নানা কৌশলে ও জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা চালায়।

এ ঘটনায় আদালতে একটি মামলা দায়ের করলে তা দীর্ঘ ১০ বছর ধরে বিচারাধীন রয়েছে। মামলা স্বত্ত্বেও উল্লেখিতরা ওই জায়গা দখলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। আদালত নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে উল্লেখিত সন্ত্রাসী বাহিনী গত ১৭ জুলাই সন্ধা ৬টায় পূণরায় দখল করতে আসে। এতে বাধা দিলে আনার,নাইম,মামুন,শিল্পী বাহিনীর সদস্যরা তাদেরকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।

এ ঘটনায় থানার স্মরণাপন্ন হয়েও কোন প্রতিকার পায়নি তারা। যে কারণে হিংস্র ওই দলটি ওই জায়গার উপর গত ১০ আগষ্ট তৃতীয় দফা স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা চালালে নিরীহ হুমায়ূন উপায়ন্তর না পেয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র জজ আদালতে গিয়ে দেওয়ানী মোকাদ্দমা ২১৭/২০২১ নং মূলে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করলে আদালত পূণরায় নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন। কিন্তু উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা আদালতের দ্বিতীয় দফা নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে তাদের নির্মাণ কাজ বজায় রাখে।

পরে ২৯ আগষ্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়েও একটি অভিযোগ দাখিল করলে এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসীরা হুমায়ূনকে স্ট্যাম্পে সাক্ষরের জন্য চাপ সৃষ্টি করে। হুমায়ূ সাক্ষর দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা হুমায়ূন এলোপাথাড়ি মারধর করে। তাকে মারতে দেখে তার পুত্র রিফাত,বোন রোকসানা এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা তাদেরকে একটি পরিত্যক্ত কক্ষে আটক রেখে তার ছেলে রিফাত(১৭) ও বোন রোকসানা(৩০)কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।

এ সময় তারা ঘরে অনধিকার প্রবেশ করে সাড়ে ১৩ সিপটি ফ্রিজ, ড্রেসিং টেবিল, আলমিরা, ডোলচি, সোকেস, ওয়ারড্রপ,গ্যাসের বোতল, অক্সিজেনের বোতল,পানির পাম্প, ওয়েল্ডিং মেশিন ও বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রীসহ প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটে নেয়। ভয়ংকর এই বাহিনীর অত্যাচার থেকে নিস্তার পেতে হুমায়ূন কবিরের পরিবার প্রশাসনের উর্দ্ধতন মহলের তদন্তপূর্বক কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা।