টিপুর উপর সন্ত্রাসী হামলা, আহত ৫: মুকুল ও আশার বিরুদ্ধে অভিযোগ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আতাউর রহমান মুকুল ও কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশার নির্দেশে সন্ত্রাসী সৌরভের নেতৃত্বে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুর উপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে টিপুসহ ৫জকে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম।

গুরুতর আহতরা হলেন- নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, মহানগর বিএনপির সদস্য কামরুল হাসান চুন্নু সাউদ, ১২নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বাবু, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা খায়রুল কবির মুন্না। এদের মধ্যে মুন্নাসহ আরো দুইজন মাথায় কাটা রক্তাক্ত জখম হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ বন্দরের নবীগঞ্জ কামালউদ্দিনের মোড়ে সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে বেদম হামলার শিকার হয়েছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু।

৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে বন্দরের নবীগঞ্জ কামালউদ্দিনের মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে আবু আল ইউসুফ খান টিপুসহ আহতের নারায়ণগঞ্জ খানপুর ৩শ’ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তথ্য সূত্র জানায়, শুক্রবার বিকালে বন্দরের তিনগাঁও এলাকায় বিএনপির একটি সমাবেশে যোগ দিতে অটো দিয়ে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব টিপু বন্দরের নবীগঞ্জ কামালউদ্দিনের মোড়ে এলে বন্দরে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আতাউর রহমান মুকুল ও কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশার অনুগামী সন্ত্রাসী সৌরভ, রাজীব, মোস্তকা, নুর হোসেনের নেতৃত্বে শতাধিক দুর্বৃত্তরা তার বহনকারী অটো থামিয়ে তার উপর হামলা করে। এ সময় তিনি একাধিক সন্ত্রাসীর বেপরোয়া মারধরের শিকার হয়।

হামলাকারীরা হলেন- আমান সরদারের ছেলে সৌরভ, রাজিব, গনি মিয়ার ছেলে মোস্তাক, সিরাজ উদ্দিনের ছেলে টুটুল, সাদেকের ছেলে সানি, তম্ময় ও রবিনসহ শতাধিক দুর্বৃত্ত।

এ ব্যাপারে আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, মুকুল ও আশার নেতৃত্বে তার লোকজন আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অর্তকিত হামলা চালিয়েছে। আমিসহ অনেক নেতাকর্মীকে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করেছে।

এ বিষয়ে আতাউর রহমান মুকুল স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে বলেন, টিপুর অভিযোগ সত্য নয়। হামলাকারীরা আমার লোক নয়। আর হামলার কথা আমি এই মাত্র শুনলাম।

তবে এ বিষয়ে কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এদিকে সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছলেও কাউকে পায়নি।

এ ব্যাপারে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) গোলাম মোস্তফা স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, হামলার সংবাদ পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।