ফতুল্লায় বিএনপির দুই গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আহত ২০

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানা বিএনপির দুই গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ অন্তত ২০জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় বিএনপির শীর্ষ নেতারা একে অপরকে দোষারোপ করছেন। মুলত একই স্থানে দুই গ্রুপের মিছিল করা নিয়ে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। যদিও আগে থেকেই বিএনপি নোকর্মীরা আচ করতে পেরেছিলেন যে কোনো সময় ফতুল্লা থানা বিএনপির দুই গ্রুপের মাঝে সংঘর্ষ বাধতে পারে।

স্থানীয়রা জানান, ১১ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকেলে থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জাকির হোসেন রবিনের নেতৃত্বে ফতুল্লা ইউনিযন বিএনপির ৫নং ওয়ার্ড বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা দখলবাজ চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের নৈরাচজ্যের বিরুদ্ধে শান্তিপূণৃভাবে শান্তি মিছিল বের করেন। মুলত এই মিছিলটি থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু ও সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী অনুগামী। এই মিছিলের সামনেই ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সুলতান মোহামদ মোল্লার অনুগামী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন একই স্থানে আরেকটি মিছির বের করলে এই সংঘর্ষ বেধে যায়।

শহিদুল ইসলাম টিটু স্থানীয় গণমাধ্যমে অভিযোগ করেছেন, ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির মিছিল আওয়ামীলীগ নেতা আলাউদ্দীন হাজীর ছেলে আক্তার, সুমন ও মেয়ের জামতা পঞ্চবটীর আলোচিত যুবলীগ ক্যাডার ওলা মাসুদকে নিয়ে আলমগীর হোসেন হামলা চালায়। এতে বিএনপির ১৫-২০ জন আহত হয়েছেন। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।

বুধবার দুপুরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় ফতুল্লা রেল লাইন বটতলা থেকে কাঠেরপুল এলাকা পর্যন্ত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপি ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া সংঘর্ষে রনক্ষেত্রে পরিনত হয়। আশপাশের দোকানপাট, বসতবাড়ী, ব্যবসায়ী ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পরে।

স্থানীয় প্রতক্ষদর্শীরা জানায়, ফতুল্লা ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ড এলাকাবাসীর উদ্দেগ্যে মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল শুরুর পূর্বে দুপুর ২টা থেকে রেল লাইন বটতলায় ছোট ছোট মিছিল নিয়ে জমায়েত হতে থাকে লোকজন।

বিকেল তিনটার দিকে মিছিলটি রেল লাইন বটতলা হয়ে কোতালেরবাগ কবরস্থান পাড় হওয়ার সময় শাহনিজাম ও নিপুর অন্যতম দোসর আলাউদ্দিন হাজীর দুই পুত্র আক্তার, সুমন ও মেয়ের জামাতা ওলা মাসুদের নেতৃত্বে তাদের সহযোগি সন্ত্রাসীরা মিছিলে হামলা চালায়। এ সময় ওলা মাসুদ ও সুমন মিছিলে গুলি বর্ষণ করে। এতে করে বিক্ষোভ মিছিল ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পুনরায় তারা একত্রিত হয়ে গুলিবর্ষনকারীদের ধাওয়া দেয়।