রূপগঞ্জে নির্বাচনী মাঠ গুছিয়ে নিচ্ছেন কাজী মনির

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জ-(রূপগঞ্জ) আসনে নিজের নির্বাচনী মাঠ ঘুছানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর রূপগঞ্জে সন্ত্রাস চাঁদাবাজ দখলবাজি ও নৈরাজ্য ঠেকাতে কাজ করে যাচ্ছেন বিএনপির এই নেতা। প্রায়শই রূপগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভায় বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন তিনি।

স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, কাজী মনিরুজ্জামান মনির জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৮, ২০১৮ সালের নির্বাচনে এ আসনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে মনোনিত হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। মাঝে ২০১৪ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করেনি। এক সময় রূপগঞ্জে বিএনপি নেতা বলতে বিএনপির সাবেক নেতা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার ও কাজী মনিরুজ্জামান মনিরকেই বুঝাতো।

নারায়ণগঞ্জ শহর কেন্দ্রীক রাজনীতিতে তৈমুর আলম খন্দকার যখন ব্যস্ত তখন রূপগঞ্জে বিএনপির রাজনীতিতে মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভূঁইয়াকে নিয়ে আসেন তৈমুর আলম খন্দকার। রূপগঞ্জে দিপু ভূঁইয়াকে প্রতিষ্ঠিত করেন তিনি। দিপু ভূঁইয়া রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে সরাসরি না থাকলেও বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেন তিনি এবং তাদেরকে রাজপথে ব্যবহার করেন। কমিটির নিয়ন্ত্রণ দিপু ভূঁইয়ার হাতে থাকলেও রূপগঞ্জে বিএনপির নেতাকর্মীরা আছেন কাজী মনিরের দিকে। এরি মাঝে দিপু ভূঁইয়ার তল্পিবাহক জেলা ছাত্রদলের কমিটি বিলুপ্ত করে দিয়েছে কেন্দ্র।

নেতাকর্মীরা জানান, রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাহফুজুর রহমান হুমায়ুন ও সাধারণ সম্পাদক বাছির উদ্দিন বাচ্চুকে এ পদে বসিয়েছিলেন কাজী মনিরই। কিন্তু কাজী মনির জেলা বিএনপির সভাপতির পদ ছাড়ার পর হুমায়ুন ও বাচ্চু পল্টি দিয়ে দিপু ভূঁইয়ার বলয়ে যোগ দেন। তবে নির্বাচন নাগাদ সময়ে এরা ঠিকি কাজী মনিরের বলয়ে ফিরবেন।

বর্তমানে কাজী মনিরের রাজনীতিতে রূপগঞ্জে আরো শক্ত অবস্থানে নিতে তার বলয়ে কাজ করছেন জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক নাসির উদ্দীন, শরীফ চেয়ারম্যান, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা যুবদল ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহাবুব রহমান, জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি এডভোকেট আমিরুল ইসলাম ইমন, তারাবো পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন রিপন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক নেতা আবু মোহাম্মদ মাসুম, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী সুলতান মাহামুদের মত বহু রাজপথের নেতা।

এদিকে জেলা তৃণমূল বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক স্বপদ থেকে পদত্যাগ করে বিএনপিতে ফিরে গিয়ে কাজী মনিরের পক্ষে মাঠে নেমেছেন মোহাম্মদ আলী ভূঁইয়া মেম্বার। তিনি এর আগে উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি ছিলেন। কাজী মনিরের প্রতিটি কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের নিয়ে ভুমিকা রাখছেন মোহাম্মদ আলী ভূঁইয়া মেম্বার। জেলা ছাত্রদলের কমিটি বিলুপ্ত করার পর দিপু ভূঁইয়ার বলয়ে আতংক বিরাজ করছে। কারন যেকোনো সময় জেলা যুবদল ও জেলা বিএনপির কমিটি ভেঙে গেলে দিপু ভূঁইয়ার রাজনীতিতে ধস নামবে।