প্রেস বিজ্ঞপ্তি
নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ ভাসানী ভুঁইয়া মৃত্যুবরণ করিয়াছেন (ইন্না-লিল্লাহ ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন তার আইন পেশার (গুরু) সিনিয়র বাংলাদেশ অ্যাপিলেট ডিভিশনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে, ২৯ সেপ্টেম্বর রবিবার বিকেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হোন অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ ভাসানী ভুঁইয়া। তাকে দ্রুত রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে পরিস্থিতি গুরুতর হলে তাকে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়। ৩০ সেপ্টেম্বর সোমবার পৌনে ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই হাসপাতালেই ভাসানীর মৃত্যু হয়। বাদ এশা নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর নিতাইগঞ্জ দক্ষিণ নলুয়া রোড এলাকার জামে মসজিদে মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ ভাসানী ভুঁইয়ার এমন অকাল মৃত্যুতে শোকাভিভূত তারই আইন পেশার ওস্তাদ অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। ভাসানীর মৃত্যুর সংবাদে তৈমুর আলম খন্দকার স্তব্ধ হয়ে যান। বর্তমানে তিনি দেশের বাহিরে অবস্থান করছেন। তিনি ভাসানীর মৃত্যুর খবরে হতভম্ব হয়ে ওঠেন।
তিনি গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, এই মৃত্যু মেনে নিতে পারছিনা। ভাসানী দীর্ঘদিনের শিষ্য আমার। আমার পছন্দের শিষ্য, সে খুব সহজ সরল মানুষ ছিল। তাকে আমি প্রচন্ড রকম ভালোবাসতাম, পছন্দ করতাম। আমার সঙ্গে জুনিয়র হিসেবে আইনপেশায় সততার সাথে দায়িত্ব পালন করেছে। দীর্ঘদিন ধরে সে আমার কাছের মানুষ ছিল এবং আমার বিশ্বস্ত একজন। এত্ত দ্রুত সময়ে তার মৃত্যুর খবর শুনবো এটা আশা করিনি। এটা বিশ্বাস করতেও কষ্ট হচ্ছে যে, ভাসানী আমাদের মাঝে আর নেই। আমি দেশের বাহিরে অবস্থান করায় তাকে শেষ দেখাও দেখতে পারছিনা। আমি দেশে ফিরেই তার কবর জিয়ারতে যাবো এবং তার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবো। ভাসানীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছি এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।