ডেস্ক রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জের দু’টি ব্যবসায়ী সংগঠন থেকে ৮ লাখ টাকা চাঁদা নিয়েছিল একটি চাঁদাবাজ চক্র। তবে, ব্যবসায়ী নেতাদের উদ্যোগে চাঁদার পুরো টাকাই আবার ফেরত আনা হয়েছে। যদিও চাঁদাবাজদের নাম বলতে নারাজ ব্যবসায়ীরা।
১ অক্টোরব মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ মহাগরীর চাষাঢ়ায় ব্যবসায়ী সংগঠন বিকেএমইএ’র প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজের সভাপতি মো. মাসুদুজ্জামান। এই সময় বিকেএমইএ’র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমসহ আরও কয়েকজন ব্যবসায়ী নেতা উপস্থিত ছিলেন।
মাসুদুজ্জামান জানান, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজ এবং আরেকটি ব্যবসায়ী সংগঠনের কাছ থেকে ৮ লাখ টাকা চাঁদা নেওয়া হয়। পরে যারা চাঁদা নিয়েছিলেন তাদের কাছ থেকে টাকাগুলো ফেরত আনা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি তাদের বুঝাতে সক্ষম হয়েছি যে, এটা ভালো কাজ না। তারা বুঝেছে এবং টাকা ফেরত দিয়েছে। এটা একটি শুভ সূচনা নারায়ণগঞ্জ তথা বাংলাদেশের জন্য। এ ধরনের কাজ যাতে আমরা আর না করি। আমরা ব্যবসায়ীরা কোনো দল করি না, আমাদের কোনো দলীয় পরিচয় নেই। আমরা ব্যবসা করি। আমাদের স্বস্তি, শান্তিতে থাকতে দেন। নারায়ণগঞ্জে ঝুটের জন্য বিকেএমইএ, চেম্বারের উপর বিভিন্ন ব্যক্তি চাপ সৃষ্টি করছে। যাতে আমরা এটি বন্টন করে দেই। কিন্তু এটা আমাদের কাজ না।’
বিকেএমইএ এর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘মাসুদ দায়িত্ব নেওয়ার পরই ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় ভূমিকা পালন করেছেন। নতুন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পরে চেম্বার থেকে ৩ লাখ এবং আরেকটি অ্যাসোসিয়েশন থেকে আমার মাধ্যমে আরও ৫ লাখ টাকা চাঁদা দেয়া হয়েছিল। মাসুদ দায়িত্ব নিয়ে সে টাকা ফেরত আনার ব্যবস্থা নেয়। যেদিন সে চেম্বারের দায়িত্ব নেয় সেদিনই সে বলেছিল, চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে এবং চাঁদার টাকা ফেরত দিতে হবে। আল্টিমেটলি সেটা সে করেছে। সেজন্য মাসুদ এবং যারা টাকা ফেরত দিয়েছে তাদের ধন্যবাদ জানাই। তারা বিষয়টি অনুধাবন করেছে এবং ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করে, তাদের পাশে থাকার মতো অবস্থান তৈরি করেছে।’
সূত্র: যুগের নারায়ণগঞ্জ