নারায়ণগঞ্জে হত্যা মামলায় রুবেল মেম্বার গ্রেপ্তার

সান নারায়ণগঞ্জ টুযেন্টিফোর ডটকম:

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রসহ ছাত্র জনতার উপর হামলাকারী নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার গোগনগর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোঃ রুবেল মেম্বারর‌্যাব-১১ গ্রেপ্তার করেছে। ১ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেলে এ তথ্য জানান র‌্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার, এএসপি সনদ বড়ুয়া।

তিনি জানান, গোপন সংবাদ ও গোয়েন্দা তথ্য এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় একটি যৌথ আভিযানিক দল গত ২৯ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে উপরোক্ত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রসহ ছাত্র জনতার উপর হামলাকারী নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার গোগনগর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোঃ রুবেল আহমেদকে নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদ এলাকা হতে র‌্যাব-১১কর্তৃক গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

র‌্যাব আরো জানায়, গত ২০ জুলাই এজাহারের ১৫ নং আসামী মোঃ রুবেল আহমেদ সহ অন্যান্য আসামীগন বে-আইনী জনতাবদ্ধে অত্যাধুনিক দেশী ও বিদেশী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ছাত্র জনতার উপর হামলা করে। এতে জনৈক গার্মেন্টস কর্মী মোঃ মিনারুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয় এবং আরো অনেকেই গুরুতর আহত হয়।

পরবর্তীতে ভিকটিম মিনারুল ইসলাম কে নারায়ণগঞ্জ খানপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় প্রচারিত হলে দেশব্যাপী ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। উক্ত বিষয়ে ভিকটিমের ভাই মোঃ নাজমুল বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে র‌্যাব-১১, সিপিসি -১ নারায়নগঞ্জ ক্যাম্প এর অভিযানে র‌্যাবের একটি আভিযানিক দল ২৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নারায়নগঞ্জ সদর থানাধীন গোগনগর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে উক্ত মামলার এজাহার নামীয় পলাতক আসামী মোঃ রুবেল আহমেদকে গ্রেপ্তার করে।

তিনি আরো জানান, আসামি রুবেল আহমেদ নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার গোগনগর ইউনিয়নের শীর্ষ সন্ত্রাসী ভূমিদস্যু চাঁদাবাজ এবং একাধিক হত্যা মামলার আসামি। তার নেতৃত্বে গোগনগর ইউনিয়নে বিচ্ছু বাহিনী রুবেল গ্যাং পরিচালিত হতো। নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় এই রুবেল গ্যাং দের বিরুদ্ধে খুনের মামলা সহ একাধিক খুনের চেষ্টা মামলা,অগ্নিসংযোগ, মার্কেট ভাঙচুর, টাকা লুটপাট, চাঁদাবাজি ও ডাকাতিসহ মামলা রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে এসে এলাকায় রুবেল গ্যাং চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মাধ্যমে এলাকার মানুষের মধ্যে ত্রাসের সঞ্চার করেছিল। গ্রেপ্তারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।