সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
সোনারগাঁও উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল্লাহ আল মামুন মেম্বার। তিনি জানিয়েছেন, তিনি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হওয়ার পেছনে সোনারগাঁও উপজেরা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান ও সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেনের কোনো হাত নেই। তিনি পরিষদের ১০জন মেম্বারের সমর্থনে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। সুতরাং ফেসবুকে কিংবা গণমাধ্যমে মান্নান কিংবা উপজেলা বিএনপিকে জড়িয়ে যে ধরণের খবর প্রকাশিত হচ্ছে সেটা মিথ্যা বানোয়াট।
৪ অক্টোবর শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি পরিষ্কার করেন এবং তার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াটা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে বলেও তিনি জানান।
এ ছাড়াও তিনি জানিয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত কিংবা জাতীয় পার্টির সঙ্গে তার কোনো রাজনৈতিক সম্পর্ক নেই এবং ছিলো না। এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে উন্নয়ন কাজ ভাগিয়ে অনতে হয়েছ মাত্র।
তিনি লিখেছেন, আমি আব্দুল্লাহ আল মামুন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদ। ইদানিং বিভিন্ন পত্রিকা ও ফেসবুকে ফেইক আইডি খুলে আমার বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপ-প্রচার করা হচ্ছে। এসব ফেইক আইডির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। যা করা হচ্ছে সকলই মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। একটি মহল সাংবাদিকদের ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করে সংবাদ প্রকাশিত করাচ্ছে। ফলে আমি ও আমার পরিবার সমাজের কাছে হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছি।
তিনি আরো লিখেন, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সাংসদ শামীম ওসমানের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক নেই। আমি জমির ব্যবসা করার সুবাদে একটি কোম্পানির প্রতিনিধি হওয়ায় আমার কোম্পানির কাছ থেকে জমি ক্রয় করার জন্য তিনি সোনারগাঁয়ে এসেছেন। ওনার সঙ্গে জমি নিয়ে আলোচনার একটি ছবি প্রচার করা হচ্ছে। জনপ্রতিনিধি হিসেবে সাবেক সাংসদ আব্দুল্লাহ কায়সারের সঙ্গে আমার ছবি দেখা যায়। তবে আমি কোন সময়ই আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। আমার নাম কোন কমিটিতেও নেই। কেউ দেখাতেও পারবেন না।
‘আমি ইউপি সদস্য হওয়ার সুবাধে এমপিদের সঙ্গে সু-সম্পর্ক রেখে জনগণের স্বার্থে কাজ এনে উন্নয়ন করেছি। গত ৫ই আগষ্ট দেশের রাজনীতির পট পরিবর্তনের সাথে সাথে একটি কু-চক্রী মহল ওই ছবিগুলোকে পুঁজি করে আমাকে আওয়ামীলীগ ও জাপার লোক বানিয়ে ফয়দা লুটার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি আরো জানান, বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের ১০জন সদস্যদের সম্মতিতে রেজুলোশনের মাধ্যমে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করায় আমাকে দায়িত্ব নিতে হয়েছে। এখানে কাউকে অর্থ দিতে হয়নি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান ও সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেনের কোন হাত নেই। মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করে আমার ও আমার পরিবারকে সমাজের কাছে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে। ফলে এগুলোর প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।