সান নারায়ণগঞ্ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
যুবককে রাস্তায় ফেলে দুইহাতে ধারালো ছেন দা দিয়ে কুপাচ্ছে। এই সেই দ্বীন ইসলাম। নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলার চিহ্নিত সন্ত্রাসী দ্বীন ইসলাম এখন নিজেকে বিএনপি সাজার চেষ্টা করছে। বিগত সাড়ে ১৫ বছর কখনো আওয়ামীলীগ ও কখনো জাতীয়পার্টির রাজনীতি করে আসা দ্বীন ইসলাম বিএনপির ছায়াতল এখন। এক সময় সরাসারি আওয়ামীলীগের নেতাদের পেছন থেকে রাজনীতি করেছে। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে জাতীয় পার্টির এমপি থাকায় জাতীয় পার্টির সঙ্গেও সখ্যতা রেখে রাজনীতি করেছিল। বন্দরের যুবক মাহাবুবকে প্রকাশ্য দিবালোকে রাস্তায় ফেলে ধারালো ছেন দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা চালায় এই দ্বীন ইসলাম। সেই দ্বীন ইসলামকে এখন বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচিতে সরব দেখা যাচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, বন্দরের জিওধরায় মাহাবুবকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যারচেষ্টা চালায় দ্বীন ইসলাম সহ আরো বেশকজন। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। গত ১১ সেপ্টেম্বর বুধবার সন্ধা সাড়ে ৬টায় মাহাবুব জিওধরা চৌরাস্তা হয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে রিফাতের ফ্ল্যাক্সিলোডের দোকানে পৌঁছামাত্র পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা দ্বীন ইসলাম, আতাউর, মানিক, সাদ্দাম, বাদশা ও এমদাদ মিয়ার ছেলে সজীবসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫জন চাইনিজ কুড়াল, রামদা, চাপাতি ও লোহার রড নিয়ে তার গতিরোধ করে। এ সময় কিছু বুঝে ওঠার আগে উল্লখিতরা মাহাবুবকে দফায় দফায় নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা নিশ্চিত ভেবে চলে যায়।
পরে স্বজনরা খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে রাজধানীর রাজারবাগ জিকে হসপিটালের আইসিউতে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় আহত মাহাবুবের মাতা হাসিনা প্রকাশ মহিতুন বেগম বাদী হয়ে ৮জনের নাম উল্লেখ করে বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
তার মত সরকারি দলের একজন দূর্ধর্ষ সন্ত্রাসী দ্বীন ইসলাম এখন বিএনপির কর্মসূচিতে দেখা যায়। গত ৫ আগস্টে পর বন্দর উপজেলা বিএনপির বেশকটি কর্মসূচিতে দ্বীন ইসলামকে মঞ্চে বসতে দেখা গেছে। ওই মঞ্চে বসেছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ ও বন্দর থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি নূর মোহাম্মদ পনেছের মত শীর্ষ নেতারা। সেই নেতাদের সঙ্গেই মঞ্চে বসেছেন দ্বীন ইসলাম। বর্তমানে বন্দরের বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি নেতাদের সঙ্গে দ্বীন ইসলামের ছবি লাগিয়ে ব্যানার ফ্যাস্টুন সাটানো হয়েছে।
অথচ বিগত সাড়ে ১৫ বছর আওয়ামীলীগের সঙ্গে রাজনীতি করেছে দ্বীন ইসলাম। মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম আরাফাতের সঙ্গে রাজনীতি করেছে। এ আসনে জাতীয় পার্টির এমপি সেলিম ওসমান থাকায় কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান ও মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেনসহ তার সন্ত্রাসী পুত্র শুভর সঙ্গে রাজনীতি করেছে দ্বীন ইসলম। মুলত সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আইনগত ব্যবস্থা থেকে নিজেকে বাঁচাতে এখন বিএনপির ছায়াতলে আশ্রয় খুঁজছেন দ্বীন ইসলাম।