সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জর বন্দরের পশ্চিম হাজীপুর এলাকায় মতিন,বাতেন,মনু, ইসমাঈল, আলমগীর ও জাহাঙ্গীর গংয়ের বিরুদ্ধে মানিক নামে এক মৎস্য খামারীর লীজপ্রাপ্ত পুকুর জোরপূর্বক দখলের চেষ্টার সাইনবোর্ড লাগানোর অভিযোগ উঠেছে।
নিজেদেরকে মসজিদ কমিটির কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে এবং মসজিদের নাম ব্যবহারের পাঁয়তারা চালাচ্ছে বলে অভিযোগে প্রকাশ। এদিকে লীজকৃত পুকুর হতে মানিক মিয়ার চাষকৃত ৩লাখ টাকার মাছ সরিয়ে নেয়ার জন্য তাকে হুমকি দেয় উল্লেখিতরা। অন্যথায় আগামী ৭দিনের মধ্যে তাকে হত্যা করা হবে হুমকি প্রদান করে।
এর আগেও মতিন,বাতেন,মনু,ইসমাঈল,আলমগীর ও জাহাঙ্গীর গং মানিক মিয়ার লীজকৃত পুকুরে জোরপূর্বক সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেয়। এতে বাধা দিলে উল্লেখিতরা মানিক মিয়াকে বেদম মারপিট করে হত্যার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় মানিক মিয়ার স্ত্রী মাজেদা বেগম বাদী হয়ে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে উল্লেখ সহ ভুক্তভোগীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় জানা যায়, পশ্চিম হাজীপুর এলাকার মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে ১৯৯৫ সাল হতে সরকারিভাবে রেলওয়ের দুই দাগে থাকা ৫৪ একর পরিমাণের একটি পুকুর লীজ নিয়ে তা পরিচালনা করে আসছিল। মানিক মিয়া বৈধভাবেই পুকুরের লীজার হয়ে তাতে মাছ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
৫ আগষ্ট দেশের পট পরিবর্তণের পর পরই ওই এলাকার মৃত শফিউদ্দিন মিয়ার ছেলে মতিন, বাতেন, মৃত আব্দুল হামিদ মিয়ার ছেলে মনু মিয়া, একই এলাকার ইসমাঈল, নূর হোসেন মিয়ার ছেলে আলমগীর ও মৃত আশু মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর গং নিজেদেরকে স্থানীয় মসজিদের কর্মকর্তা পরিচয়ে সরকারি ওই পুকুরটি দখলের জন্য নানা কূট-কৌশল চালিয়ে আসছে।
এমনকি পুকুরটি ছেড়ে দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। প্রকৃত লীজার মানিক মিয়া পুকুরটি দিতে অস্বীকৃতি জানালে এতে ক্ষিপ্ত হয়ে , বাতেন,মনু, ইসমাঈল, আলমগীর ও জাহাঙ্গীর গং মানিক মিয়াকে মারধর করে পুকুরে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেয়। একই সাথে ১৩ অক্টোবর রোববার দুপুরে মানিক মিয়া নামাজ পড়তে গেলে তাকে মসজিদের ভেতরেই হুমকি প্রদর্শণ করে। এ ব্যাপারে মানিক মিয়া জানান,আমার লীজকৃত পুকুর ১৯৯৫সাল হতে মাছ চাষ করে আসছি।
গত ৫ আগষ্ট সরকারের পবির্তণের পর পরই এলাকার কিছু দুষ্ট লোক আমার পুকুরটি দখলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারা মসজিদের নাম ব্যবহার করে আমার পুকুরটি দখল করতে চাইছে। তারা সাইনবোর্ডে লিখেছে এই পুকুর নিয়ে নাকি আদালতে তাদের সঙ্গে আমার মামলা চলছে। আসলে তাদের সঙ্গে মামলা ছিল কিন্তু সেই মামলা আরো ৫ বছর আগে আদালত খারিজ করে দেয়। দিন দিন তারা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে। প্রয়োজনে আমি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছে যাবো অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।