ডেস্ক রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেছেন, আমরা চাই আমাদের সাথে রাজনীতিতে বীর পুরুষরা আসুক, রাজনীতি করুক। আমি বলতে পারছি না, ওসমান পরিবারের আর কেউ জীবনে কোনদিন রাজনীতিতে আসতে পারবে কিনা জানা নাই। অর্থ, দাম্বিকতা, আর ক্ষমতার কারণে একটা রাজনৈতিক পরিবারের রাজনীতি করার ক্ষমতা চিরদিনের জন্য ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। তাদের দোষরদের বলতে চাই ‘এখনো আপনারা ভাবেন আপনারা আবার ফিরে আসবেন, এটা ভুল স্বপ্ন ভুলে যান।
১৮ অক্টোবর শুক্রবার বিকালে ৪টায় ফতুল্লা বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজি নৈরাজ্যের প্রতিবাদে, ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘ ১৬ বছর স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। এই আন্দোলনে আপনারা অনেকে অংশগ্রহন করেছেন, কেউ কেউ আন্দোলন না করলেও সমর্থণ দিয়েছেন। আবার অনেকে দোয়া করেছেন যাতে আমরা সফল হতে পারি। স্বৈরাচার ১৬ বছর যেভাবে এমনভাবে বাংলাদেশে অর্থ সম্পদ লুন্ঠন করে খেয়েছে, এমনভাবে দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছে যা ভাষায় বর্নণা করার মতো না। ১৬ বছর আন্দোলন করার পর মানুষ যখন হতাশ যে, এই স্বৈরাচারী হাসিনাকে কোনভাবে সরানো যাবে না। তখন হঠাৎ করেই আমাদের ছাত্ররা আন্দোলনে নামলো, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে। এই আন্দোলন এমনভাবে চূড়ান্ত রূপ তৈরী করলো যে, অহংকারী দেমাগ সম্পন্ন শেখ হাসিনা শুধু ক্ষমতা ছাড়লো না, গোপনে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলো। তাকে কে পালিয়ে যেতে বললো, আমরা তো তাকে পালিয়ে যেতে বলিনি ফুল দিয়ে ঢিল ছুড়ি নাই। কিন্তু সে কেনো চলে গেলো, প্রশ্ন তো এখানেই।
তিনি আরও বলেন, এই দেশে পাকিস্তান আমল থেকে নির্বাচন হয়েছে, কেউ হারে কেউ জিতে। কোন দিন কি দেখেছেন কোন দলের এমপি মন্ত্রীরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়। তাহলে এতো ক্ষমতাধারী, শক্তিশালী, ফ্যাসিস্ট হাসিনা কেনো পালিয়ে গেলো, এবং কারা তাকে তাড়ালো। আন্দোলন সংগ্রাম এমন পর্যায়ে গিয়েছিলো, তিনি বুঝে গেছে আমি যদি কিছুক্ষণ থাকি তাহলে প্রাণে রক্ষা পাবো না। এই জন্যই মূলত দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। ঐতিহ্যের দাবীদার একটা রাজনৈতিক দল, এবং তার দলের প্রধানমন্ত্রী জনরোষে পালিয়ে গিয়ে তার দলটাকে ধ্বংস করে দিয়ে গেছে, নেতাকর্মীদের ধ্বংস করে দিয়ে গেছে, সে নিজেকে ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। একটি প্রবাদ আছে ‘অহংকার পতনের মূল’।
জাতীয়তাবাদী মৎসজীবীদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর সাবেক সামাজিক আপ্যায়ণ সম্পাদক মিলন মেহেদীর সভাপতিত্বে ও বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ হাসান আলীর সঞ্চালনায় এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা বিএনপির সহ-সভাপতি সুলতান মাহামুদ মোল্লা, লোকমান হোসেন, আলাউদ্দিন খন্দকার শিপন, সাধারণ সম্পাদক এড.বারী ভূঁইয়া, যুগ্ম সম্পাদক এড. খন্দকার আক্তার হোসেন, শ্রমিক দল নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি মন্টু মিয়া, কুতুবপুর বিএনপির সভাপতি বিল্লাল হোসেন, ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাসান মাহমুদ পলাশ, কাশীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মঈনুল হোসেন রতন প্রমূখ।
সূত্র: যুগের নারায়ণগঞ্জ