সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন ৪নং ওয়ার্ডস্থ চিতাশাল খালপাড় এলাকায় অবস্থিত চারটি পাথর ও ইট গুঁড়া করার কারখানা আবাসিক এলাকা থেকে উচ্ছেদের দাবিতে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা পরিবেশ অধিদপ্তর আবেদন করেছিলো এলাকাবাসী। তারি ধারাবাহিকতায় পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্দেশে নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ ও দূষণকারী তিনটি ইট-পাথর কারখানার বিদ্যুৎ বিছিন্ন করেন এবং ফাতুল্লা কুতুবআইল এলাকায় একটি টেক্সটাইল মিলস এর গ্যাস বিছিন্ন করেন।
২০ অক্টোবর রবিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো: আল মামুন এর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শেখ মোজাহীদ, বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তারা ও পুলিশ অফিসারবৃন্দ।
এসময় কুতুবপুর ইউনিয়নের চিতাশাল এলাকার উপস্থিতি এলাকাবাসীরা জানান, আমরা আল্লাহর নিকট অশেষ শুকরিয়া জানাই যে, আমাদের অনেক আন্দোলন সংগ্রাম ও বিভিন্ন দপ্তরে দপ্তরে দৌড়াদৌড়ি করার পর আজ পরিবেশ অধিদপ্তর এই দূষণকারী পাথর কারখানার বিদ্যুৎ বিছিন্ন করে দিয়েছে।
এলাকাবাসী আরও জানান, আমাদের এখানে শত শত পরিবারের বসবাস। তবে এই পরিবারগুলো জীবন বাঁচাতে হুমকির মুখে আছেন। কারণ এই এলাকায় চারটি পাথর ও ইটা গুঁড়া করার কারখানা রয়েছে যা আমাদের এই অঞ্চলের মানুষের জন্য মরণব্যাধি হয়ে উঠেছে। এই কারখানা গুলোতে যখন কাজ করে তখন পাথর ও ইটের গুঁড়ো উড়ে পুরো এলাকায় ছড়িয়ে যায়। এই ইট ও পাথরের গুঁড়ো আমাদের নাকে-মুখে ঢুকে মরণব্যাধি শ্বাসকষ্ট, যক্ষা ও ক্যান্সারের মতো রোগব্যাধি হয়ে থাকে। প্রথমে সর্দিকাশি হয় পরে আস্তে আস্তে শ্বাসকষ্ট হয় এমনকি ক্যান্সারও হয়। এইসব রোগে আক্রান্ত হয়ে এ পযন্ত প্রায় ১৫ জমের মতো মানুষ আমাদের এলাকা থেকে মৃত্যু বরণ করেছে। তাদের মধ্যে অনেকে গরীব মানুষ হওয়াতে ঠিকমতো চিকিৎসা করাতেও পারে নাই। অনেকে আবার ভিটামাটি বিক্রি করে চিকিৎসা করেও বাঁচাতে পারে নাই। এখনো ৪০ জনেম মতো এলাকাবাসী শ্বাসকষ্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে বিছানায় শুয়ে আছে। এদের মধ্যে তিনজনে ক্যান্সারও হয়েছে।
এসময় এলাকাবাসীর মধ্য থেকে উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সহ-সভাপতি হাজী শহীদুল্লাহ, বিশিষ্ট সমাজ সেবক সালাম কন্টাকটার, এডভোকেট ফাহিম, নবুউল্লাহ, মো. নাছির প্রধান, সোহেল মোল্লা, মেহেদী হাসান সুজন, নুরিসলাম, শরিফ খাঁন, রুবেল, শরিফ, সাইদুল, রাসেল খাঁন, নবি, বিল্লাল, মনির, আরিফ, সানাউল্লাহ, সালে আহাম্মেদ তানবির, ইজদ্দিন মোল্লা, রাজু, দোলাল, মোকলেছ, সানি, রাজিব, আসলাম, জামান, ফিরুজ, ভাসানি,পারভিন, রিতা, মুক্তা, মিনা, টুম্পা, মৌসুমী, সাহি, ইশা, নাছিমা, আন্না, নিলুফা, সনিয়া ও রিতা।
অভিযানে গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিছিন্ন করা প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম, ১। মেসার্স হোসেন টেক্সটাইল মিলস, কুতুবাইল, ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ, ২। সারোয়ার আলম রাবিব এর ইট ক্রাসিং কারখানা, পশ্চিম দেলপাড়া (খালপাড়), কুতুবপুর, ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ, ৩। ফারুখ হোসেন খোকন এর ইট ক্রাসিং কারখানা, পশ্চিম দেলপাড়া (খালপাড়), কুতুবপুর, ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ, ৪। আজাহার উদ্দিন শেখ এর ইট ক্রাসিং কারখানা, পশ্চিম দেলপাড়া (খালপাড়), কুতুবপুর, ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ।