সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
৭০ বছরের বৃদ্ধ বাবাকে বাড়ি থেকে বের দিয়েছে তার সন্তানেরা। রাস্তা থেকে তাকে তুলে নিয়ে চিকিৎসা করেন ভাতিজি। ক্ষোভে সেই বৃদ্ধ বাবা আত্মহত্যা করেছেন। বাবার আত্মহত্যার ঘটনা জানানোর পরেও বাবাকে দাফন করতেও আসেনি সন্তানেরা! এমন ঘটনা ঘটেছে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁয়ে।
জানাগেছে, উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়ন এলাকায় বৃদ্ধ শুক্কুর আলী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনায় তার ভাতিজি আছিয়া বেগম বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছেন।
মামলায় আছিয়া বেগম জানান, উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নে চরকামালদী ভৌমিকপাড়া এলাকায় মৃত এমাজউদ্দিনের ছেলে শুক্কুর আলী তার বাড়িতে বসবাস করতেন। প্রতিদিনের ন্যায় ১১ মে শনিবার শুক্কুর আলীকে রাতের খাবার দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেন ভাতিজি। রাত ২টার সময় ভাতিজি সেহেরী খেতে উঠে চাচার ঘরে গিয়ে দেখেন তিনি ঘরে নেই। ঘর থেকে ফেরার পথে দেখতে পান একটি আমগাছের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
ভাতিজি আছিয়া বেগম বলেন, গত কয়েক বছর আগে তার বসতবাড়ী বিক্রি করে দিয়ে নারায়ণগঞ্জ শহর এলাকায় বসবাস শুরু করেন। সেই বাড়ি থেকে তার ছেলে মেয়েরা তাকে বের করে দেন। এরপর থেকে তিনি রাস্তাঘাটে দিনযাপন করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। আমি তাকে রাস্তা থেকে তুলে এনে বাড়ীতে আশ্রয় দিয়ে সুস্থ্য করে তুলি। আমার ধারণা তার জমিজমা হারানো ও ছেলে মেয়েরা তাকে বাড়ী থেকে বের করে দেওয়ার যন্ত্রনায় তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
তিনি আরও জানান, আজ তার আত্মহত্যার সংবাদ তার ছেলে মেয়েদের জানালে তারা তাকে দাফনও করতে আসেননি। এ ঘটনায় আছিনা বেগম বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন।