সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আওতাধীন বন্দর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সভাপতি প্রার্থী সম্রাট হাসান সুজনেই নাস্তানাবুদ হয়ে ওঠেছে মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও তিন বারের সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম অনুগামীরা। এক সম্রাট হাসান সুজনকে ঠেকাতে পুরোপুরি রাজনীতির মাঠে নেমেছেন জালাল হাজীর পুরো রাজনৈতিক পরিবার। রাজপথের সক্রিয় যুবদল নেতা সম্রাট হাসান সুজন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুর ঘনিষ্ঠ কর্মী। তবে টিপুও গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছেন। নিজ কর্মী সুজন ও বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির রাজপথের ত্যাগী নেতাকর্মীদের অস্তিত রক্ষা করতে আপ্রাণ চেষ্টা করতে গিয়ে নিজেও সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন।
স্থানীয়দের সূত্রে জানাগেছে, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর বন্দর উপজেলায় বেপরোয়া হয়ে বিভিন্ন হাট ঘাট মাঠ ড্রেজার বালু ব্যবসা জমি ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে নেমে যান আবুল কালামপুত্র ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাউসার আশা ও তার অনুগামী শাহিন আহমেদ সৌরভ, রাজীব, নূর হোসেন সহ একটি সিন্ডিকেট। বন্দর থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খান মাসুদ ও মহানগর স্বেকচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দুলাল প্রধানের ঘনিষ্ঠজন শাহিন রাজীব ও নূর হোসেন রাতারাতি হয়ে যান বিএনপি নেতা। ৫ আগস্টের পর তারা নিজেদেরকে বিএনপি নেতা দাবি ২৩ আগস্ট বন্দর ইউনিয়নে বিএনপির ব্যানারে কর্মসূচি পালনের উদ্যোগে নেয় তারা। সেখানে আশাকে প্রধান অতিথি করা হয়। মুল টার্গেট ছিল আশাকে শো-অপ করে বন্দর ইউনিয়নের বিভিন্ন সেক্টর নিয়ন্ত্রণে নেয়া।
নেতাকর্মীদের অভিযোগ- হটাত বিএনপি নেতা বনে যাওয়া নূর হোসেনদের আয়োজিত সমাবেশ মেনে নিতে পারেনি বিগত সাড়ে ১৫ বছর রাজপথে আন্দোলন করতে গিয়ে জেল জুলুম নির্যাতনের শিকার নেতাকর্মীরা। দলের মুলধারার ব্যানারের বাহিরে গিয়ে পৃথক ব্যানার করে ওই আলোচনা সভার আয়োজন করায় পণ্ড করে দেন রাজপথের ত্যাগী নির্যাতিত নেতাকর্মীরা। এরজন্য বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রাজু আহমেদ ও তার ভাই সম্রাট হাসান সুজনকে দায়ী করা হয়। তবে গত ২৩ আগস্ট ওই আলোচনা সভার আয়োজন করেছিলো আশা অনুগামীরা। সেদিন নেতাকর্মীদের নিয়ে আশাও রাজু ও সুজনের বাড়ির সামনে গিয়ে বাহিনী নিয়ে মহড়া দিয়েছিলেন। এ ঘটনার পর সুজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদা দাবির অভিযোগ তুলে দেন আশা অনুগত খান মাসুদের সহযোগী নূর হোসেন। মিডিয়াতে নুর হোসেন চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে নানা বক্তব্য দেন।
এরপর গত ৬ সেপ্টেম্বর বন্দর ইউনিয়নে দিনগাঁও এলাকায় থানা ও উপজেলা বিএনপির আয়োজনে চাঁদাবাজ, দখলবাজ, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে সমাবেশের আয়োজন করা হয়। ওই সমাবেশ বানচাল করতে সকাল থেকে চেষ্টা করে আসে আশা অনুগামী সন্ত্রাসী শাহিন রাজীব নূর হোসেনরা। বানচাল করতে না পেরে বিকেলে ওই সমাবেশে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে যাওয়ার পথে নবীগঞ্জ পাড় হয়ে কামালউদ্দীনের মোড় পৌছে আবু আল ইউসুফ খান টিপুর উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায় নূর হোসেন শাহিন রাজীবরা। টিপুর উপর হামলা চালিয়ে গুরুত্বর জখম করা হয়। ওই হামলার পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ঘটনার একদিন পর নারায়ণগঞ্জ মহানগরীতে আবুল কাউসার আশা তার বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীদের নিয়ে উল্টো টিপুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করে নানা বক্তব্য দেন আশা।
এই ঘটনায় বিএনপির বহিস্কৃত নেতা আতাউর রহমান মুকুল ও আবুল কাইউসার আশা সহ তাদের অনুগামীদের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন টিপু। ওই ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে আদালতে টিপু সুজনসহ তাদের অনুগামীদের বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন নূর হোসেন, যা বন্দর থানা পুলিশকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন আদালত। তদন্ত চলমান। এদিকে সুজনকে ঠেকাতে বন্দর থানায় একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে তাকে ধমানোর চেষ্টা করছেন কালাম অনুগামীরা। এক সুজনেই তাদের রাজনীতির রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে বলে মনে করছেন নেতাকর্মীরা।