ডেস্ক রিপোর্ট:
বিএনপির ভারপাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর বার্তা পৌছানোর লক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্বা গিয়াস উদ্দিন বলেছেন, রাজনৈতিক দল রাজপথে থেকে আন্দোলন করেছে। সে দল ছোট হউক কিংবা বড় হউক যদি আমরা সুযোগ পাই তাহলে সকল দলকে নিয়ে আমরা জাতীয় সরকার গঠন করব বলে নির্দেশ দিয়েছেন। মানুষ খুবই উদার। কথা বলার লোক খুব কমই আছে। যে ক্ষমতায় যায় ক্ষমতার লোভ পেয়ে বসে। সে জন্যে স্বৈরাচার সরকারের পরিণত না হয়। ক্ষমতার কুক্ষিগত ভাবে না রাখে। সে জন্য দেশের জনগণকে সর্বোচ্চ মূল্য দিতে চায় বলেই তারেক রহমান এ ঘোষণা দিয়েছেন।
২৬ অক্টোবর শনিবার বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জ রেবতী মোহন পাইলট স্কুল এন্ড কলেজ এর প্রাঙ্গণে ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন আরোও বলেন,জাতীয় ঐক্য তৈরী হতে পাড়ে ১৯৭১সালে মুক্তিযোদ্ধের লক্ষ বাস্তবায়ন এবং ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে নতুন স্বপন্নে বাস্তবায়ন অঙ্গীকার। এতে বিএনপির সাথে জাতীয় ঐক্য গঠণ করে দেশের কল্যাণে যারা কাজ করতে চায় তাদেরকে বিএনপি স্বাগত জানাবে। এদেশের সর্বাধিক মানুষ বিএনপিকে ভালোবাসে, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানেরর আদর্শ, বেগম জিয়াকে ভালোবাসে এবং তারেক রহমানের বিচক্ষণ নেতৃত্বে মানুষ আস্থা রেখেছে। তাই কোন ষড়যন্ত্রকারীর ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না। জনগণ কিন্তু সবাইকে চেনেন। সবার ইতিহাস জনগণ জানেন। হঠাৎ করে কেউ মোড়ল সাজাতে চাইলে জনগণ তার অতীত ইতিহাস এবং বর্তমান চিন্তা করে ভাববে।
তিনি আরোও বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা যখন ক্ষমতায় নারায়ণগঞ্জে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সন্ত্রাসী সন্ত্রাসীদের গড ফাদার তৈয়রী হয়েছিল। সেই গডফাদারের বিচরণ ছিল নারায়ণগঞ্জ জেলায়। বিষেশ করে এ সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় বেশি ছিল। কারন তার শ্বশুরবাড়ির আত্মীয় তার শ্বশুরবাড়ি এখানে। এ সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার মানুষ দেখেছে হোন্ডার বাহিনী হোন্ডার বাহিনীর দৌরাত্ম্য। ঐ গডফাদারের শ্বশুর বাড়ি সিদ্ধিরগঞ্জ মানুষ দেখেছে যারা রাজনিতী করতো না তারা কি দাপট দেখিয়েছে। তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দখল করে নিয়েছিল। শিক্ষা দীক্ষা নেই নির্লজ্জ বেহার মতো দাপট দেখিয়ে মানুষের সম্পদ লুণ্ঠন করেছে। এমন কি তারা গম চুরি করতেও তারা ছাড়েনাই। সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজী থেকে সুরু করে সমস্ত কিছুই করেছে এখানে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন আরও বলেন, আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হুংঙ্কার দিয়ে মানুষের কাছে মিথ্যাচার করেছে। বিচারের নামে প্রহসন করে ঘুষ খেয়ে মানুষের সমস্ত অধীকার নষ্ট করে দিয়েছে। পুলিশ প্রশাসন, সংগঠন দিয়ে মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়েছে। তারা আজ ক্ষমা চাচ্ছে। আমাদের পিতা, মাতা, আত্মীয়-স্বজন এলাকার মানুষ মারা গিয়েছে জানাজায় অংশগ্রহণ করতে পাড়িনাই। নিজের স্ত্রী মারা গিয়েছে আমরা আসতে পারিনাই। সেই দিন আপনারা আনন্দ করেছেন। আমরা এখনতো ক্ষমতায় নাই। এখন নিরপেক্ষ ব্যক্তিরা ক্ষমতায় তাদের কাছে ক্ষমাচান। আপনারা আইনের কাছে সোপর্দ করেন।
৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান এর সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন, সিদ্বিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, সহ-সভাপতি জি এম সাদরিল, ১নং ওর্য়াড বিএনপির সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান রওশন আলী, ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি মো. আহসানউল্লাহ, সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান মনা,সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান শিপু সহ অসংখ্য নেতৃবৃন্দ।
সূত্র: যুগের নারায়ণগঞ্জ