সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে দাবিকৃত চাঁদা না দেওয়ার অভিযোগে সিএনজি চালকদের মারধর ও চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে মহানগর যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বন্দর থানা যুবদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী সোহাগ বাহিনীর বিরুদ্ধে। আহত হয়েছেন সিএনজি চালক রানা, তারেক ও স্বপন।
২৭ অক্টোবর রবিবার রাতে বন্দর ১নং খেয়াঘাট সিএনজি স্ট্যান্ড এ মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এসময় গুরুতর আহত সিএনজি চালক রানাকে উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় বন্দর থানা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আহতের ভাই দুলাল।
অভিযুক্তরা হলেন- নাসিক ২২নং ওয়ার্ড কাজীবাড়ি এলাকার কাজী সালাউদ্দিন মিয়ার ছেলে কাজী সোহাগ, কলাগাছিয়া ইউনিয়নের জিওধারা এলাকার শাহীন, পৃষ্ঠা ৩ কলাম ১ মদনগঞ্জ এলাকার রশিদ, কলাগাছিয়া নিংশ এলাকার আব্দুর রহমান, আকাশ ও কিমন খানসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১৫ জন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নামদারি যুবদল নেতা কাজী সোহাগ, আকাশ ও কিমন খান দীর্ঘদিন যাবৎ বন্দর সিএনজি স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে।
চাঁদার বিরুদ্ধে দুলাল ও সিএনজি চালক রানা প্রতিবাদ করলে উল্লেখিত চাঁদাবাজরা নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছে। এরই জের ধরে গত রোববার রাত সোয়া ৯টার দিকে বন্দর সিএনজি স্ট্যান্ডে পুনরায় চাঁদা চাইলে রানা প্রতিবাদ করলে সোহাগের নেতৃত্বে আকাশ, কিমন খানসহ উল্লেখিতরা এলোপাথাড়ি মারধর শুরু করে।
এক পর্যায়ে সোহাগের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে স্ট্যান্ড থেকে রানাকে তুলে নিয়ে কাটপট্টি এলাকায় গিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ইলেকট্রিক শক দেয় এবং মাথায় ধারালো সুইচ গিয়ার দিয়ে এলোপাথাড়িভাবে আঘাত করে জখম করা হয়। পরে তার ডাক-চিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসলে উল্লেখিতরা খুনের হুমকি প্রদান করে এবং পুনরায় চাঁদা ওঠাতে বাধা দিলে পথেঘাটে যেখানে পাবে সেখানের হত্যা করা হবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়। আহত অবস্থায় রানাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে এবং বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
এ বিষয় বন্দর থানার আইও এসআই হুমায়ন কবির জানান, মারধর করেছে ঘটনা সত্য। বন্দর সিএনজি স্ট্যান্ডে কাঁচাবাজার দোকানদারদের কাছ থেকে চাঁদা নিয়েছে কিছু দোকানদার বলছে এবং আরও কিছু তদন্ত বাকি আছে সেগুলোর তদন্ত চলছে।