ওসমান পরিবারের দোসর হাতেম ঝুট দিয়ে বিএনপির কর্মীদের চরিত্র হরণ করছে: গিয়াস

সান নারায়ণগঞ্জ:

সামান্য কিছু ঝুটের কারণে ওসমান পরিবারের অন্যতম দোসর বিকেএমইএ’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাতেমের কাছে বিএনপির নেতাকর্মীদের সস্তায় বিক্রি না হওয়ার আহবান করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন। তিনি বলেন, সৈরাচার হাসিনা সরকারের পতনের পর বিকেএমইএ’র সভাপতি পালিয়ে যাওয়ার পর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পান। তার পর থেকে সে ঝুট সেক্টর নিয়ন্ত্রণ করা শুরু করে। বিএনপির নেতাকর্মীদের ঝুটের বিষয় নিয়ে তার অফিসে ডেকে নেয়। আমার দলের নেতাকর্মীরাও হাতেমের ডাকে সারা দিয়ে সস্তায় বিক্রি হয়ে যায়। ঝুট দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করছে। দলের নেতাকর্মীদের চরিত্র হরণ করছে। এই হাতেম ডেকে নিয়ে ঝুট বন্টন করে। আমি চাই না আমার দলের নেতাকর্মীরা ওসমান পরিবারের দোসর হাতেমের কাছে সস্তায় বিক্রি হয়ে যাক। হাতেম আমার দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে খেলা শুরু করে দিয়েছে। ব্যবসায়ী সংগঠন বিকেএমইএ’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি থেকে হাতেমকে বাদ দিতে হবে। ব্যবসায়ী সংগঠনে ভাল লোককে দায়িত্ব দিতে হবে। 

শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে ধর্মগঞ্জ চটলার মাঠে মাদক, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাস রোধে নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লার এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের উদ্দেগে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। 

তিনি আরো বলেন, বর্তমান বিকেএমইএ’র দায়িত্ব কার হাতে, হাতেমের হাতে। আর হাতেম কে? হাতেম হলো ওসমান পরিবারের দোসর। আর এই হাতেম বলেছিল আমরা থাকতে আওয়ামী লীগের কেউ কিছু করতে পারবে না। আর এই হাতেম সামান্য ঝুটের কারণে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিভ্রান্তি করে দলের সুনাম নষ্ট করছে। আমার দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে কেউ খেলা করবে এটা আমি কিছুতেই মেনে নিবো না। আর কে কোথায় কি করছে আমার কাছে তথ্য রয়েছে। দলের নাম ভেঙে কেউ চাঁদাবাজি সন্ত্রাস করবে তা কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না। আমাদের রাষ্ট্র নায়ক তারেক রহমান যেহেতু সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের মেনে নিবে না আমরা কিভাবে মেনে নিবো। 

গিয়াস উদ্দিন আরো বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের আমাদের করণীয় কি? দেশের সর্ববৃহৎ ও জনপ্রিয়দল হলো বিএনপি। এখন আমরা জনগণের কল্যাণে ও উন্নয়ণে কাজ করবো। কিভাবে বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে আমরা আবার উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাবো। এটাই হলো আমাদের বিএনপির সব থেকে বড় কাজ। ফ্যাসিস্ট সরকার এই দেশের রাষ্ট্রীয় প্রশাসন যন্ত্রকে তাদের স্বার্থে ব্যবহার করে, এসব সংস্থাগুলোকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে গেছে। ১টি সংস্থার বিষয়ে আপনাদের বলতে চাই। যারা জনগণের চাকর জনগণের অর্থে লালিত পালিত। যারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখবে, জানমালের নিরাপত্তার বিধান রাখবে, সেই পুলিশ বাহিনীকে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের বাহিনী বানিয়ে নিরস্ত্র জনগণের উপর স্টিমরোলার চালিয়েছে। আন্দোলন সংগ্রামে কত মানুষের প্রাণ নিয়েছে, কিভাবে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করেছে, এমনি নারী পুরুষও গণহত্যা থেকে রেহায় পাইনি। সেই পুলিশ বাহীনির মনে ধীরতা আজকে ভেঙ্গে গেছে।

উক্ত সমাবেশে এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এড: মাহমুদুলু হক আলমগীরের সভাপতিত্বে থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান সুমনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি সুলতান মাহমুদ মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক এড: বারী ভুইয়া, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মনিরুল ইসলাম, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম, ফতুল্লা থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ  এড: আক্তার খন্দকার, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মন্টু মেম্বার প্রমুখ।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা মহিলা দলের সহসভাপতি রোজিনা মেম্বার, মহিলা দল নেত্রী সাজেদা খাতুন মিতা, কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মঈনুল ইসলাম রতন, সাধারণ সম্পাদক আরিফ মন্ডল, ফতুল্লা থানা যুবদলের আহবায়ক মাসুদুর রহমান মাসুদ, বিএনপি নেতা সিরাজুল ইসলাম, মুজিবুর রহমান সহ আরো অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।