বিএনপির ভূয়া পদ ব্যবহার করে কাজী সোহাগের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ

ডেস্ক রিপোর্ট

দলীয় পদ-পদবী না থাকলেও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২২নং ওয়ার্ড বিএনপির প্রথম সদস্য পদ ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে কাজী সোহাগের বিরুদ্ধে। দলীয় ওয়ার্ড বিএনপির পদ ব্যবহার করা পোস্টার ছেয়ে গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। এ নিয়ে ২২নং ওয়ার্ড বিএনপি থেকে শুরু করে জেলা জুড়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ভাইরাল হওয়ায় ওই পোস্টারে বিএনপির ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে তিনি পোস্টার ছাপিয়ে পদবী ব্যবহার করেছে। ওই সম্মিলত ছবিতে নজরুল ইসলাম আজাদ, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদল নেতা জোফেস ও বন্দর থানা যুবদল নেতা আমির হোসেন এর ছবি রয়েছে। সেই ছবিতে নাসিক ২২নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য প্রথম সদস্য লেখা রয়েছে। এছাড়াও ২২নং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি ও মহানগর যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ উল্লেখ করা হয়েছে।

স্থানীয় বিএনপির নেতারা বলছেন, কাজী সোহাগের দলীয় কোন পদবী নেই, এলাকায় তিনি জোসেফের ছায়াতলে থেকে চাঁদাবাজি চালাচ্ছেন। পদে না থাকলেও ২২নং ওয়ার্ড বিএনপির প্রথম সদস্য পদ ব্যবহার করে পোস্টার ছাপিয়ে বিএনপির নাম কুলষিত করছেন তিনি।২২নং ওয়ার্ডবাসী তাকে চাঁদাবাজ হিসেবে জানেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের কোন শেষ নেই। তিনি নিজেকে রক্ষার্থে একেক সময় একেক পদ ব্যবহার করে।

নাসিক ২২নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রাসেল জানান, আমাদের ৭ সদস্য বিশিষ্টি কমিটি দিয়েছে এর বাহিরে কোন কমিটি নেই। কাজী সোহাগ ২২নং ওয়ার্ড বিএনপির প্রথম সদস্য পদবী লিখে পোস্টার ছাপিয়েছে এ প্রসঙ্গে রাসেল জানান, তিনি বিএনপির কেউ না, তার কোন পদ-পদবী নেই।

বন্দর থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক টিপু নাছির উল্লাহ জানান, কাজী সোহাগ নামে ২২নং ওয়ার্ডে বিএনপির কোন সদস্য নেই। সেখানে ৭ সদস্য বিশিষ্টি একটি কমিটি দিয়েছে মহানগর বিএনপি। এছাড়াও ৭১ সদস্য বিশিষ্টি একটি কমিটি জমা হয়েছে ওই প্রস্তাবিত কমিটিতেও তার কোন নাম নেই। তিনি যদি সদস্য পদ ব্যবহার করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে জানান, ২২নং ওয়ার্ড বিএনপির কমিটিতে কাজী সোহাগ নামে কেউ নেই।