গডফাদার শামীম ওসমান ও গিয়াসউদ্দীনের মধ্যে কোনো পার্থক্য নাই: রিয়াদ চৌধুরী

ডেস্ক রিপোর্ট:

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে সমাবেশ ও র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিকেল চারটায় ডিআইটি মাঠে সমাবেশের আয়োজন করে ফতুল্লা থানা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন।

সমাবেশে জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনকে উদ্দেশ্য করে ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী বলেন, গিয়াসউদ্দিন এবং শামীম ওসমানের কোন পার্থক্য নেই। পার্থক্য হলো একজন ঘোষণা দিয়ে প্রকাশ্যে খুন করায় আর একজন গোপনে। এরা দু’জনই গডফাদার।

রিয়াদ বলেন, মনে প্রানে শেখ মুজিবের আদর্শ লালন করেন বলেই আপনি ১৫ আগস্ট পালন করেছেন, নাসিক নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী বিজয়ী হওয়ার পর মিষ্টি খাইয়ে খুশি রাখার চেষ্টা করেছেন, আপনার পরিবারের সদস্যরা নৌকার পক্ষে ভোট চেয়েছেন। এসব করে আপনি নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন। আর এখন বাঘ সেজে হুংকার দিচ্ছেন, বাঘ সাজতে চান তাতে সমস্যা নাই, কিন্তু এই বাঘকে আমরা ভয় পাই না। আমার প্রশ্ন ৫ আগস্টের আগে আপনি কোথায় ছিলেন, তখন কেন বাঘ সাজেননি। আন্দোলন করতে গিয়ে যে গুলি শহিদুল ইসলাম টিটু খেয়েছে তা আপনার খাওয়ার কথা, তখন আপনি কোথায় ছিলেন?

রিয়াদ চৌধুরী আরও বলেন, দীর্ঘদিন ত্যাগের বিনিময়ে বিএনপির অর্জনকে ভূলুণ্ঠিত করার চেষ্টা করছে একটি পক্ষ। ৫ আগষ্টের পর বহিষ্কার খেলায় লিপ্ত হয়েছেন। সিদ্ধিরগঞ্জে কোথায় কার মার্কেট দখল করেছেন, লুটপাট কি করেছেন সব আমরা জানি, আপনি এর দায় এড়াতে পারবেন না। আমাদের হুমকী দিয়ে লাভ নাই, শামীম ওসমানের মতো গডফাদারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে আমরা রাজনীতি করেছি, সেই শামীম ওসমান পালিয়েছে, আর আপনি এসে নারায়ণগঞ্জের মানুষকে হুমকি দিচ্ছেন। এসব করে আপনি বিএনপিকে বিতর্কিত করতে করছেন। আপনার পরিবার কি অপরাধ করেছেন, আর আমরা কি অপরাধ করেছি। একটি মঞ্চ করে বসেন ফতুল্লায় কি হয়েছে আর সিদ্ধিরগঞ্জে কি হয়েছে। তখনই বুঝা যাবে কে কি দখল করেছে। কে কতোটুকু অন্যায় করেছে।

ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু বলেন, যারা মাঠে ছিলোনা, যারা ২০০১ সালে মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজী করেছে, এখন তাঁদের শেল্টার দিচ্ছেন, আমরা উড়ে এসে জুড়ে বসিনি, আমরা তৃনমূল থেকে উঠে আশা কর্মী। আমাদের হুমকী দিয়ে, ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। যারা আমাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন, আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন আপনার আন্দোলনের সময় কোথায় ছিলেন। বিভাজনের রাজনীতি পরিহার করে দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করুন।

এসময় বক্তব্য রাখেন ফতুল্লা থানা শ্রমিকদলের আহবায়ক শাহ আলম, থানা যুবদলের সদস্য সচিব সালাউদ্দিন সালু, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক জাকির হোসেন রবিন, ফতুল্লা থানা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক আ. খালেক টিপু, ফতুল্লা থানা বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক বাবুল আহমেদ, বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক সুমন আকবর, নজরুল ইসলাম প্রধান, কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার, ফতুল্লা থানা বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক সাগর সিদ্দিকী, মুসলিম আহমেদ।

সমাবেশ শেষে ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু ও থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি র‍্যালি ফতুল্লার ডিআইটি মাঠ থেকে শুরু হয়ে ঢাকা-নারায়নগঞ্জ পুরাতন সড়কে পঞ্চবটী বাস স্ট্যান্ড গিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়।