ডেস্ক রিপোর্ট:
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, আগামী দিনে বিএনপির রাজনীতি কিভাবে চলবে তার পরীক্ষা হয়ে গেছে। গত ৫ আগস্টের পূর্বে যারা রাজপথে ছিলো, মামলা হামলা খেয়েছেন, বুকের রক্ত বিলিয়ে দিয়েছেন, তবুও স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন, তারাই বিএনপির নেতৃত্ব দেবে। তারাই আগামী দিনে এমপি নির্বাচন করবে, মেয়র নির্বাচন করবে, উপজেলা নির্বাচন করবে, ইউনিয়ন পরিষদে যাবে। তারাই জনগণকে সাথে নিয়ে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় কাজ করবে।
১২ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে বন্দর উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত মদনপুর ইউনিয়নের দেওয়ানবাগ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এক সমাবেশে এসব কথা বলেন সাখাওয়াত হোসেন খান।
বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ লিটনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাখাওয়াত।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, বন্দর উপজেলা যুবদলের সভাপতি প্রার্থী সম্রাট হাসান সুজন।
সমাবেশে সাখাওয়াত আরো বলেন, আমরা কি স্বৈরাচারের দোসরদের আমাদের দলে স্থান দেবো? ইতিপূর্বে আমরা চিহ্নিত করেছি কারা গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ আর জাতীয় পার্টির লেজুড়বৃত্তি করে এই বন্দরের বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। কারা বিভিন্ন নির্বাচনে আওয়ামীলীগ আর জাতীয় পার্টির এমপির পক্ষে কাজ করেছে আর আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়েছে। আজ তারাই ভোল পাল্টে বিএনপির সামনের সাড়িতে আসতে চায়।
তিনি আরও বলেন, যারা গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ আর জাতীয় পার্টির দালালি করেছেন আর এখন স্বপ্ন দেখছেন, তাদের স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে। নারায়ণগঞ্জ বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীরা তা কোনদিনই হতে দেবে না। আর তাই আগামী দিনে বন্দরের বিএনপি নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।
সমাবেশের পর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বন্দর উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে এক বিশাল র্যালি বের হয়। র্যালিটি মদনপুরের দেওয়ানভাগ বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক হয়ে মদনপুর স্ট্যান্ডে গিয়ে শেষ হয়।
সুত্র: যুগের নারায়ণগঞ্জ