তৈমূরের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার দাবিতে নারায়ণগঞ্জে ৬টি সংগঠনের মানববন্ধন

ডেস্ক রিপোর্ট

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এবং বর্তমানে তৃণমূল বিএনপির কেন্দ্রীয় মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মাসদাইরে ৬টি সংগঠন মানববন্ধন করেছে।

১৩ নভেম্বর বুধবার সকাল ১০টায় নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর মাসদাইর বাজার কমিটি, মুসলিম একাডেমি, বাজার মসজিদ কমিটি, সমাজকল্যাণ প্রভাতি সংসদ, বেগম রোকেয়া খন্দকার উচ্চ বিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ওই মানববন্ধনে অংশ নেন।

মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দরা বলেন, মাসদাইরের কৃতি সন্তান তৈমূর আলম খন্দকার। তিনি মাসদাইরকে আধুনিক এলাকা হিসেবে গড়ে তুলতে বহু আগ থেকেই পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তিনি কখনো অন্যায় কাজে জড়িত হয়নি, বরং তিনি এলাকার যুব সমাজ ও মুরব্বীদের জন্য বিভিন্ন সংগঠন করেছেন।

তারা বলেন, তিনি দেশের একাটি রাজনীতি দলের জেলা সভাপতি ছিলেন। ওই সময় সরকারবিরোধী অবস্থানে একাধিক মামলার শিকার হয়েছেন। কিন্তু ছয় বছর পর তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন কিছু বির্তর্কিত লোক। তিনি আসলে কোনো দলের রাজনীতি করেন, তা পরিষ্কার হয়নি। অন্তর্বতী সরকারের কাছে আহবান থাকবে, সত্য ঘটনাকে মিথ্যা করানো কোনো সুযোগ দিবেন না। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে তৈমূর আলমকে বানোয়াট মামলা থেকে বাদ দিবেন।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২৩ জানুয়ারি আদালত পাড়া থেকে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা দায়িত্বরত তৈমূরকে গ্রেপ্তার করা হয়। আগের বছর ২০১৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন।

পরবর্তীতে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে গঠিত কমিটিতে ফের সভাপতি হন তৈমূর। মাঝের সময়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার পদে থেকে ছিলেন সরব।

খালেদা জিয়ার মামলার শুনানীতেও নিয়মিত যেতেন বকশিবাজারের বিশেষ আদালতে। কিন্তু তখনকার একটি মামলায় তাকে আসামি করা নিয়ে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। অথচ যে তারিখে মামলার অভিযোগ তার এক মাস আগেই নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তৈমূর।

ওয়ান এলেভেনের পর তারেক রহমানকে গ্রেপ্তারের পর প্রথম আদালতে ছুটে যান তৈমূর। তখন তাকে হুমকি দেয়া হলেও তিনি নড়েনি। বরং সবকিছুকে উপেক্ষা করে তারেক রহমানের পক্ষে লড়েন।

গত ৯ নভেম্বর রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় মামলাটি এজাহার হিসেবে রেকর্ড করা হয়। একই মামলার আসামি হলেন নারায়ণগঞ্জের তিন রাজনীতিবিদ। তারা হলেন- সাবেক বিএনপি নেতা তৈমূর আলম খন্দকার, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি সেলিম ওসমান ও লিয়াকত হোসেন খোকা। মামলার বাদী বাংলাদেশ পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান মো. বাবুল সরদার চাখারী।