সাখাওয়াত-টিপুকে নিয়ে সদর থানা বিএনপির শোডাউন

ডেস্ক রিপোর্ট:

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে সঙ্গে নিয়ে নারায়ণগঞ্জ নগরীতে বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীদের নিয়ে শোডাউন করেছে নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপি।

১৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যাল ও সমাবেশ করেছে নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপি। এদিন বিকেল ৩টার দিকে নগরীর চাষাড়া শহীদ মিনারে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশের পরে বঙ্গবন্ধু রোডে এক বিশাল র‌্যালী বের হয়। এতে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

সদর থানা বিএনপির সভাপতি মো. মাসুদ রানার সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এইচ এম আনোয়ার প্রধানের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. সাখাওয়াত হোসেন খান। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু।

সমাবেশে সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, নারায়ণগঞ্জ বীরদের জেলা। এই নারায়ণগঞ্জে আমরা সবাই সহাবস্থান করতে চাই। পূর্বে নারায়ণগঞ্জ ছিল সন্ত্রাসের জেলা, গডফাদারদের জেলা। সেই অবস্থা থেকে উদ্ধার করে একটি সুখি-শান্তির পরিবেশে সমৃদ্ধশালী নারায়ণগঞ্জ গড়তে চাই। আমরা নারায়ণগঞ্জের মানুষ এখন ঐক্যবদ্ধ। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালে সম্রাজ্যবাদী শক্তির ইশারায় কারাবন্দি হয়েছিলেন। সেই বন্দি দশা থেকে সিপাহী জনতা বিপ্লবের মাধ্যমে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে ও এই বাংলাদেশকে মুক্ত করেছিলো।

সমাবেশের প্রধান বক্তা আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান হলেন স্বাধীনতার ঘোষক। আমরা দীর্ঘ নয় মাসু যুদ্ধ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন করতে পেরেছি। ৭ নভেম্বর হলো জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সাধারণ সৈনিক ও জনতা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে কারারুদ্ধ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করেছিলেন। উনার হাতে দেশ শাসনের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছিল। এভাবে সেদিন অধিপত্যবাদের পতন হয়েছে।

র‌্যালী ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক ও আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির, যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন খান, আনোয়ার হোসেন আনু, শাহ ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি শাহেন শাহ আহাম্মেদ, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম ভূঁইয়া হিরন, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, মহানগর সেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক শাখাওয়াত ইসলাম রানা, মহানগর শ্রমিক দলের সদস্য সচিব মো. ফারুক হোসেন প্রমূখ।