আওয়ামীঘেষা-জাতীয়পার্টির ‍উপর ভর করেও রেজাউল করিমের জনসভা ফ্লপ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর হটাত বিএনপির বড় নেতা গজিয়ে ওঠা উচ্ছিষ্টভোগী, আওয়ামীঘেষা ও জাতীয়পার্টির নেতাকর্মীদের উপর ভর করে জনসভার আয়োজন করেছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেজাউল করিম। বিএনপির নেতাকর্মীদের সাড়া পাওয়ায় রেজাউল করিমের জনসভাটি ফ্লপ হয়েছে। ভাড়ায় আনা ছোট ছোট মিছিল আসতে দেখা গেলেও রেজাউল করিম বক্তব্য রাখার সময় মঞ্চের সামনে ডানে বামের চেয়ারগুলো খালি হতে যায়। সোনারগাঁয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা আবারো প্রমাণ করেছেন তারা রাজপথের নেতা বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের নেতৃত্বে বিশ্বাসী। যার ১৭ বছর রাজনীতিতে ছায়াও দেখা যায়নি সেই রেজাউল করিমের ডাকে সাড়া দেয়নি বিএনপি।

স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সকল মামলা প্রত্যাহার দাবি এবং বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থ্যতা কামনায় দোয়া উপলক্ষে জনসভার ঘোষণা করেন রেজাউল করিম। ১৮ নভেম্বর সোমবার বিকেলে উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের চৌরাস্তা এলাকায় এই জনসভাটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয়পার্টির সঙ্গে অতীতে সখ্যতা রেখে আসা কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেব্ক দলের সাবেক সহ-সভাপতি ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল। প্রধান অতিথি ছিলেন রেজাউল করিম।

তবে এতে বিশেষ করে অতিথি ছিলেন সোনারগাঁও উপজেরা বিএনপির সাবেক সভাপতি খন্দকার আবু জাফর ও জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহআলম মুকুল। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পুর্বেও আজহারুল ইসলাম মান্নানের মনোনয়ন ঠেকাতে জেলা বিএনপির বর্তমান সভাপতি গিয়াসউদ্দীনকে নিয়ে সোনারগাঁয়ে মাঠে নেমেছিলেন আবু জাফর ও শাহআলম মুকুল। ওই নির্বাচনের পূর্বে সোনারগাঁয়ে গিয়াসকে নিয়ে শোডাউন মহড়া দেয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছিলেন জাফর ও মুকুল। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ না করায় তারাও চুপসে যান রাজনীতি থেকে। এবার তারা অসুস্থ্য রেজাউল করিমের কাধে ভর করে মান্নানকে ঠেকানোর চেষ্টা করছেন।

এদিকে জাতীয়পার্টির নেতাকর্মীরা রেজাউল করিমের কাধে ভর করেছেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্দেশনার বাহিরে গিয়ে রেজাউল করিম জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের বিএনপিতে যোগদান করাচ্ছেন। দুইদিন পূর্বে সোনারগাঁও পৌরসভা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক কাউন্সিলর ফারুক আহমেদ তপনকে বিএনপিতে যোগদান করান রেজাউল করিম। এ ছাড়াও ‍উপজেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ভুঁইয়াকে নিয়েও মাঠে নেমেছেন রেজাউল করিম। কাঁচপুরের একাধিক মামলার আসামী টাইগার মোমেনকেও দেখা গেল রেজাউল করিমের জনসভায়। সোনারগাঁয়ের জনবিচ্ছিন্ন আওয়ামীঘেষা, জাতীয়পার্টির নেতাকর্মী ও বিতর্কিত লোকজনের উপর ভর করে জনসভার আয়োজন করলেও ফ্লপ হয়েছে সেই জনসভাটি।