সান নারায়ণগঞ্জ
২০০৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১২ সাল পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জে ছাত্রদলের কোনো কমিটিই ছিল না। বিগত কমিটিগুলোর ছাত্রদলের নেতাদের কোনো কার্যক্রমও ছিল না। ওই সময় জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের রাজনীতিকে একাই টেনে নিয়ে গেছেন দিদার খন্দকার। ওই সময় জেলা ছাত্রদলের কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও কমিটি ব্হাল ছিল। বিএনপির সরকার ক্ষমতা হারানোর পর ১/১১ এর মত কঠিন সময়ে দিদার খন্দকার বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন।
তিনি ছিলেন জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক। দপ্তর সম্পাদক পদে থেকে জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের ব্যানারে কর্মসূচি পালন করেছেন দিদার খন্দকার। আজকে যারা জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের কমিটির নেতৃত্ব পার করে যুবদলের রাজনীতিতে আসছেন তাদের অনেকেই রাজনীতি হাতেখড়ি দিদার খন্দকারের হাতে। বিএনপির প্রতিটা কর্মসূচিতে দিদার খন্দকার নেতাকর্মীদের নিয়ে অংশগ্রহণ করতেন। একই সঙ্গে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানের পক্ষ থেকে জাকির খানের রাজনীতি সচল রেখেছিলেন।
১/১১ এর মত কঠিন সময়ে যখন বিএনপির রাজনীতি করাটাই কঠিন ছিল সেই সময় দিদার খন্দকার প্রয়াত জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌসের নেতৃত্বে বিএনপির সকল কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতেন। জেলা ছাত্রদল, তৎকালীন শহর ছাত্রদলের কোনো নেতাকে রাজনীতিতে দেখাই যায়নি। কেউ বিএনপির রাজনীতি করে এমনটা মুখ ফুটে যখন বলার সাহসও করতো না, সেই সময়টাতেও দিদার খন্দকার বিএনপির সক্রিয় রাজনীতি করেছেন।
পরর্ব্তীতে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর জেলা ও শহর ছাত্রদলের কোনো ব্যানার ধরার মত কমিটির পদধারী কোনো নেতাকর্মী রাজনীতিতে সক্রিয় ছিল না। কিন্তু দিদার খন্দকার জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক পদে থেকে জেলা ও শহর ছাত্রদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পূর্বেও টানা হরতাল অবরোধ কর্মসূচি পালনে সক্রিয় ভুমিকা রাখতেন দিদার খন্দকার। আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে একাধিকবার রাজপথে পুলিশের হামলা মামলা নির্যাতন জেল জুলুম ও লাঠিপেটার শিকার হয়েছেন দিদার।
বহু ত্যাগ রাজপথে দিদার খন্দকারের থাকলেও জাকির খানের ঘনিষ্ট কর্মী হওয়ার কারনে যোগ্য স্থানে বিএনপিতে ঠাঁই পাননি তিনি। এর আগে মহানগর যুবদলের পুর্ণাঙ্গ কমিটিতে সদস্য পদে রাখা হলে তিনি নাকচ করে দেন। কারন অনেক আগেই শহর ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ছিলেন। বর্তমানে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির একাংশের অনুমোদিত সদর থানা বিএনপির কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক পদে আছেন। একই সঙ্গে তিনি ১৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি পদেও দায়িত্ব পালন করছেন। রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে ত্যাগী স্বীকার করেও বঞ্চিত হওয়া দিদার খন্দকার তবুও রাজপথের আন্দোলন সংগ্রাম ছেড়ে যাননি।
শুধু নারায়ণগঞ্জের রাজপথেই নয়, ঢাকায় কেন্দ্রীয় বিএনপির কর্মসূচিগুলোতেও সক্রিয় থেকেছেন দিদার খন্দকার। ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশেও রাজপথে শোডাউন দিয়েছেন নেতাকর্মীদের নিয়ে। গত জুলাই-আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনেও ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের রাজপথে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন তিনি। বিজয়ের শেষ পর্যন্ত রাজপথে ভুমিকা রেখেছেন দিদার খন্দকার।
শুধু রাজপথে রাজনীতিতেই নন, সমানতালে তিনি একজন সমাজ সেবকও। ১৪নং ওয়ার্ডবাসীর সেবায় নিয়োজিত আছেন বহু বছর ধরে। রোটারিয়ান হিসেবেও দিদার খন্দকার মানবসেবায় নিয়োজিত। প্রতিটা ঈদ, পূজায় গরীব অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন তিনি। বন্যা কিংবা দূর্ভোগে মানুষের বিপদে ছুটে যাচ্ছেন তাদের পাশে। বস্ত্র কিংবা ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করে মানবসেবায় নিয়োজিত দিদার খন্দকার।