সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
চাঞ্চল্যকর মাজেদ আলী অপহরণ ও হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১১)। ইতিমধ্যে ক্লু-লেজ এই মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। ১৪ মে মঙ্গলবার বিকেলে র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল কাজী শমসের উদ্দিন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান।
তিনি জানান, গত ১৩ মার্চ মোসাঃ নাজমা বেগম নামের পাবনার এক মহিলা র্যাব-১১ এর কাছে একটি অভিযোগ দেন। অভিযোগে জানান তার স্বামী মোঃ মাজেদ আলী গত ১০ মার্চ বিকেল ৬টার পর হতে নিখোঁজ রয়েছে। এ সংক্রান্ত তিনি ফতুল্লা মডেল থানায় একটি জিডি করেন।
অভিযোগে উল্লেখ্য তারা স্বামী-স্ত্রী বিদেশ যাওয়ার উদ্দেশ্যে মহিউদ্দিন বুলু নামের এক আদম ব্যবসায়ীর কথায় পাবনা থেকে নারায়ণগঞ্জে আসেন। বুলু তাদেরকে ফতুল্লার টাগারপাড় এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় রাখে। পাসপোর্ট, ভিসা, মেডিক্যাল ও বিভিন্ন কাজের কথা বলে বুলু তাদের কাছে থেকে ২ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয়। বুলু তাদের বিদেশ না নিয়ে নানা ছলচাতুরি করে কালক্ষেপণ করতে থাকে।
গত ১০ মার্চ মহিউদ্দিন বুলু বিকেলে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে কৌশলে মাজেদ আলীকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। রাতে বুলু ফিরে আসলেও মাজেদ আলী আর ফিরে আসেনি। তখন থেকে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত আসলেও মাজেদ আলী বাসায় ফিরে না আসায় নাজমা বেগম স্বামীর জন্য কান্নাকাটি করলে আদম-বেপারী মহিউদ্দিন বুলু কৌশলে পালিয়ে যায় এবং নাজমা বেগমের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
র্যাব আরও জানায়- অভিযোগ প্রাপ্তির পর র্যাব-১১ এর একটি বিশেষ গোয়েন্দা দল নিখোঁজ মাজেদ আলীর সন্ধান ও সন্দেহভাজন মহিউদ্দিন বুলুকে গ্রেপ্তারের জন্য গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু করে। বেশ কয়েকটি স্থানে অভিযান চালিয়ে গত ৮ রাত সাড়ে দশটায় নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা মডেল থানাধীন, শিবু মার্কেট এলাকা হতে মহিউদ্দিন বুলুকে আটক করা হয়।
আসামি মহিউদ্দিন বুলুকে জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, মহিউদ্দিন বুলু পেশায় একজন আদম ব্যবসায়ী। তার বাড়ী মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানাধীন গোয়াগাছিয়া এলাকায়। সে মাজেদ আলীর কাছ থেকে পাসপোর্ট তৈরী, ভিসা, মেডিক্যাল ও বিভিন্ন কাজের কথা বলে দুই লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। বুলু টাকা আত্মসাৎ করার জন্য গত ১০ মার্চ বিকেল তিনটার দিকে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে কৌশলে মাজেদ আলীকে বাসা থেকে মুন্সিগঞ্জে মেঘনা নদীতে নিয়ে যায় ও সেখানে মহিউদ্দিন বুলু ও মাজেদ আলী আনুমানিক ৮টা পর্যন্ত অবস্থান করে।
পরবর্তীতে রাতে মহিউদ্দিন বুলু বাসায় ফিরে আসলেও মাজেদ আলী আর ফিরে আসেনি। তখন মহিলা তার স্বামী মাজেদ আলীর কথা জিজ্ঞাসা করলে সে জানায় বিদেশ নেওয়ার ব্যাপারে মাজেদ আলীর সাথে তার ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে মাজেদ আলী তার হাতের কনিষ্ট আঙ্গুলে কামড় দেয়। পরবর্তীতে ঐ মহিলাসহ মহিউদ্দিন বুলু স্থানীয় আলম মেডিক্যাল হলে ডাক্তার মোঃ খোরশেদ আলমের কাছে চিকিৎসা নেয়। বুলুর চিকিৎসা শেষে বাসায় ফেরার পরও মাজেদ আলী বাসায় না আসায় স্ত্রী নাজমা বেগম কান্নাকাটি শুরু করলে মহিউদ্দিন বুলু কৌশলে পলায়ন করে।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে আসামি মহিউদ্দিন বুলুকে নিখোঁজ মাজেদ আলীর পরিণতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে সে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান করে। কিন্তু অভিযুক্ত মহিউদ্দিন বুলুর ও নিখোঁজ মাজেদ আলীর মোবাইল কল লিষ্ট ও ঘটনার দিনে তাদের গতিবিধি পর্যালোচনা করে দেখা যায় ঐ দিন তারা নারায়ণগঞ্জ থেকে বিকালে দাউদকান্দি ব্রীজ এলাকায় ও সন্ধ্যায় মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানাধীন মেঘনা নদীর তীর এলাকায় অবস্থান করে।
পরবর্তীতে অভিযুক্ত মহিউদ্দিন বুলু নারায়ণগঞ্জে ফিরে আসলেও নিখোঁজ মাজেদ আলীর ব্যবহৃত মোবাইলটি ঐ এলাকা থেকে বন্ধ পাওয়া যায়। ধারণা করা যায় মাজেদ আলীকে সেখানেই অপহরণ ও গুম করা হয় এবং গুম করার সময় তাদের ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে মাজেদ আলী মহিউদ্দিন বুলু হাতের কনিষ্ট আঙ্গুলে কামড় দেয়। আঙ্গুলের আঘাত প্রাপ্ত স্থানে ২/৩ টি সেলাই দেয়া হয়। এতে ধারণা করা হয় মহিউদ্দিন বুলু ও তার সহযোগীরা মিলে টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে মাজেদ আলীকে গুম করেছে। এই ঘটনায় র্যাবের সহযোগিতায় নিখোঁজ মাজেদ আলীর স্ত্রী নাজমা বেগম বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা মডেল থানায় গত ৯ এপ্রিল একটি মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার মূল সন্দিগ্ধ ও অভিযুক্ত আদম-বেপারী মহিউদ্দিন বুলুকে গ্রেপ্তাতারের পর জিজ্ঞাসাবাদ, মামলা রুজু এবং মামলা পরবর্তী রিমান্ডে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও নিখোঁজ মাজেদ আলীর সন্ধান মিলেনি এবং তার পরিণতি সম্পর্কে ধোঁয়াশা কাটেনি। তাই র্যাব-১১ এর একটি বিশেষ গোয়েন্দা দল এই ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য ছায়া তদন্ত অব্যাহত রাখে।
অনুসন্ধানের ধারাবাহিকতায় কুমিল্লার দাউদকান্দি এলাকার সোহেল নামক এক নৌকার মাঝির নাম পাওয়া যায়। সে, তার এলাকা ভাটেরার চর ও দাউদকান্দি বাজারের মধ্যে ইঞ্জিন চালিত নৌকায় যাত্রী আনা-নেওয়া করে। গোপন সূত্রে জানা যায় ঘটনার দিন অর্থাৎ ১০ মার্চ আদম-বেপারী মহিউদ্দিন বুলু নিখোঁজ মাজেদ আলী ও অজ্ঞাত এক লোককে নিয়ে সোহেল মেঘনা নদীতে নৌকা চালিয়ে ছিল।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১১ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গত ১০ মে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি বাজার ঘাট হতে নৌকার মাঝি সোহেলকে আটক করে এবং তার নৌকাটি জব্দ করা হয়। র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নৌকার মাঝি সোহেল ঘটনার লোমহষর্ক বর্ননা দিয়ে জবানবন্দী প্রদান করে এবং জানা যায় আদম-বেপারী মহিউদ্দিন বুলু ও বাবু একত্রে সোহেলের নৌকায় মাজেদ আলীকে পাশবিক নির্যাতন করে, গলা টিপে ও নাক-মুখ চেপে ধরে শ¡াসরুদ্ধ করে হত্যা করে মেঘনা নদীতে লাশ ভাসিয়ে দেয়।
নৌকার মাঝি সোহেলের জবানবন্দী থেকে জানা যায়, দাউদকান্দি থানাধীন চরকাটালী এলাকায় সোহেলের বাড়ি। সে দাউদকান্দি বাজার হতে চরকাটালী এলাকায় গোমতী নদীতে নৌকা চালায়। সুলতান মাহমুদ বাবু নামক এক ব্যক্তিকে তার এলাকায় বিয়ে করার সূত্রে এলাকার জামাই হিসেবে চিনে। সুলতান মাহমুদ বাবুর বাড়ি গজারিয়া থানার গোয়াগাছিয়া এলাকায়। ঘটনার দিন অর্থাৎ ১০ মার্চ সকালে এলাকার জামাই বাবু ১ হাজার টাকা ভাড়ায় সারাদিনের জন্য সোহেলের নৌকাটি ভাড়া করে। আনুমানিক সকাল ১১ টায় দাউদকান্দি হতে বাবু নৌকায় গজারিয়ার কালিরবাজার এালাকায় আসে। নৌকার মাঝি সোহেল ও বাবু সেখানে দুপুরে আহার করে। দুপুরের পর বাবু সোহেলকে কালিরবাজার হতে চাষীর দিকে যেতে বলে। বিকাল সাড়ে তিনটায় তারা দাউদকান্দি ব্রীজের পশ্চিম পার্শে¡ চাষীর বালুর মাঠে নৌকা ভিড়ালে বাবুর পরিচিত আরো দুইজন ব্যক্তি নৌকায় উঠে। তাদের আলাপ কালে সোহেল জানতে পারে তাদের একজনের নাম বুলু ও অপর জনের নাম মাজেদ। নৌকায় উঠার পর বুলু সোহেলকে বেলতলী মাজারের দিকে যেতে বলে। সেখানে কিছুক্ষণ থাকার পর বাবু, বুলু ও মাজেদ নৌকায় উঠে গোয়াগাছিয়া বালু মহলের দিকে নৌকা চালাতে বলে।
সেখানে পৌঁছে তারা তিন জন বালু মহলে উঠে ঘুরতে থাকে। সন্ধ্যা ঘনিয়ে সূর্য লাল হয়ে আসলে নৌকার মাঝি সোহেল মোবাইলে বাবুকে ফেরার তাড়া দেয়। প্রায় ১০ মিনিট পর তারা তিন জন এসে নৌকায় উঠে। সোহেল সহজ পথ দিয়ে দাউদকান্দি আসতে চাইলেও মহিউদ্দিন বুলু যে পথ দিয়ে এসেছে, সে পথ দিয়ে নৌকা চালাইতে নির্দেশ দেয়। আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় প্রায় অন্ধকার নেমে আসছিলো এবং নৌকা মেঘনা নদীতে গোয়াগাছিয়ার মোড়ে পৌঁছায়। মাজেদ আলী নৌকার সামনের দিকে ছাউনির বাহিরে দাঁড়ানো ছিল। তখন মহিউদ্দিন বুলু মাজেদকে নৌকার ছাউনির ভিতর ঢুকানোর জন্য বাবুকে নির্দেশ দেয়। তখন বাবু মাজেদকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে ধস্তাধস্তি করে ছাউনির ভিতরে ঢুকিয়ে ফেলে। বুলু ও বাবু কিল ঘুষি মেরে মাজেদকে নৌকার পাটাতনে শুইয়ে দেয়। বুলু মাজেদের বুকের উপর উঠে বসে এবং বাবু মাজেদের পায়ের উপর বসে জোরে পা চেপে ধরে। মাজেদ বাচাও, বাচাও চিৎকার করলে বুলু নৌকার মাঝি সোহেলকে ইঞ্জিনের শব্দ বাড়িয়ে দিতে বলে, যাতে পাশর্¡বর্তী নৌকা থেকে কেউ চিৎকার শুনতে না পায় এবং সোহেল তাই করেছিল।
প্রায় ১৫ মিনিট ধরে বুলু ও বাবু পাশবিক নির্যাতন করে, গলা টিপে ও নাক-মুখ চেপে ধরে শ্বাসরুদ্ধ করে মাজেদকে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিত করে বুলুও বাবু ধরাধরি করে লাশ মেঘনা নদীতে ফেলে দেয়। লাশ ফেলে দেয়ার পর বুলু পাটাতনে টর্চ লাইটের আলোতে রক্ত দেখলে সোহেলকে রক্ত পরিষ্কার করতে বলে। সোহেল বুলুর নির্দেশে নদী থেকে পানি তুলে রক্ত পরিষ্কার করে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বুলু ও বাবু সোহেলকে ১ হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে দাউদকান্দি ব্রীজের পশ্চিম পাশের্¡ নেমে যায়।
গ্রেপ্তারকৃত নৌকার মাঝি সোহেল গত ১৩ মে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিয়িাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী প্রদান করে। নৌকার মাঝি সোহেলের জবানবন্দী থেকে প্রকাশ পাওয়া মাজেদ আলীর হত্যাকান্ডের পরিকল্পনা ও হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত সুলতান মাহমুদ বাবুকে গ্রেপ্তারের জন্য র্যাব-১১ এর আভিযানিক দল বেশ কয়েকটি স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অদ্য ১৪ মে রাত আনুমানিক দেড়টায় গজারিয়া থানাধীন গোয়াগাটিয়ার শিমুলিয়া এলাকায় তার নিজ বাড়ি হতে সুলতান মাহমুদ বাবুকে আটক করে।
গ্রেপ্তারকৃত সুলতান মাহমুদ বাবুকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ঘটনার মূল অভিযুক্ত মহিউদ্দিন বুলু ও সুলতান মাহমুদ বাবু দুই জনই গোয়াগাছিয়া এলাকার দূর সম্পকীয় আত্মীয় ও সম্পর্কে মামা-ভাগিনা। ঘটনার কয়েক দিন আগে বুলু এক লোককে মারার জন্য তার সহযোগিতা চায় এবং সহযোগিতা করলে এক লক্ষ টাকা দিবে বলে আশ্বাস দেয়। টাকার লোভে বাবু রাজি হয় এবং দুইজন মিলে ঐ লোককে হত্যা করার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী বাবু তার শ্বশুর বাড়ির এলাকা হতে তার পূর্ব পরিচিত সোহেলের নৌকা ভাড়া করে। অন্যদিকে বাবু মাজেদকে নৌকায় করে নদীতে ও চরে ঘুরতে নিয়ে যাবে বলে কৌশলে ফুসলিয়ে ফতুল্লা ভাড়া বাসা থেকে নিয়ে যায়। দুইজন মিলে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ঠান্ডা মাথায় মাজেদ আলীকে হত্যা করে মেঘনা নদীতে লাশ ভাসিয়ে দেয়।
র্যাব জানায়- যে মাজেদ তার স্ত্রীকে নিয়ে স্বচ্ছল জীবনের স্বপ্নে বিদেশ পাড়ি দেবার জন্য পাবনা থেকে সুদূর নারায়ণগঞ্জে আসছিল। এক আদম-বেপারীর লোভের শিকার হয়ে মেঘনা নদীতে হারিয়ে গেলো সেই মাজেদ। কিন্তু স্বামীহারা নাজমা বেগম দুর্বিষহ স্মৃতির যন্ত্রনা নিয়ে পাবনায় ফিরে যায়, যে স্মৃতি আমৃত্যু তাকে বয়ে বেড়াতে হবে। গ্রেপ্তারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে ফতুল্লা থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
র্যাব-১১ দাবি করেন- র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধের উৎস উদ্ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেপ্তারসহ আইন শৃংখলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। র্যাব শুরু থেকে যে কোন ধরণের অপহরণ ও জিম্মিমূলক অপরাধ প্রতিরোধ এবং মানব পাচারকারী চক্রকে সনাক্ত, অপহৃত ভিকটিম উদ্ধারসহ অপরাধীদের গ্রেপÍারে সার্বক্ষনিকভাবে অভিযান পরিচালনা করে থাকে। তাছাড়া যে কোন চাঞ্চল্যকর ক্লু-লেস মামলার রহস্য উদঘাটনের জন্য র্যাব ছায়া তদন্ত করে আসছে।