সান নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন বলেছেন, যদি মসজিদে যায় না, নামাজ পড়ে না, তাদেরকে যদি মসজিদ কমিটির নেতা বানিয়ে দেই, সেই মসজিদ ভালোভাবে চলবে না। যারা ঈমানদার পরহেজগার তাদেরকে দিয়ে মসজিদ কমিটি করতে হবে। যারা শিক্ষিত তাদেরকে দিয়ে স্কুল-কলেজের নেতৃত্ব দিতে হবে। চোরের দল নিজের লোকদের দিয়ে বিভিন্ন সংগঠনের লুটপাট চালিয়েছেন। যারা এখনো রয়ে গেছে তাদেরকে বিতাড়িত করতে হবে। নারায়ণগঞ্জে গুলোর মধ্যে পড়ে ইউনিয়ন সবচেয়ে বড়, এতে ভোটার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। আগামীতে রাজনৈতিক দিক দিয়ে ও উন্নতির দিক দিয়ে কুতুবপুর ইউনিয়নকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।
সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, নৈরাজ্যের প্রতিবাদে কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে এক জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই জনসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
৭ ডিসেম্বর শনিবার দুপুরে কুতুবপুর ইউনিয়নের নয়ামাটিতে কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বিল্লাল হোসেনের সভপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন।
জনসমাবেশের সঞ্চালনায় ছিলেন ফতুল্লা থানার বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাছান আলী। এতে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজী সুলতান মাহমুদ।
সমাবেশে গিয়াসউদ্দির আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জের যত রাজনৈতিক দল আছে, তাদের ভালো মানুষ দিয়ে সংগঠন গঠন করতে হবে ও ভালো মানুষের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে । রাজনৈতিক দল একটি এলাকায় সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, কালচারাল প্রতিষ্ঠান, ক্রীড়াবিদদের প্রতিষ্ঠান। এই সকল প্রতিষ্ঠানে যখন যোগ্য নেতৃত্ব, গণতান্ত্রিক ধারা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তখন নারায়ণগঞ্জ জেগে উঠবে, এই জেলার উন্নয়ন হবে।
তিনি বলেন, স্বৈরাচারী সরকার শিক্ষাকে ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের রাজনীতি করণ করা হয়েছে। সমস্ত জায়গায় দলের অযোগ্য ব্যক্তিদের দিয়ে, খারাপ মানুষদের দিয়ে নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছে। কোন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেন রাজনীতিবিদদের কবলে যেতে না পারে। সব জায়গাতে উপযুক্ত যোগ্য ও ভালো মানুষদের নেতৃত্ব দিতে হবে। যেখানে রাজনৈতিক এগুলো হটিয়ে দিতে হবে।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার মনিরুল ইসলাম, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী ভূঁইয়া, কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মঈনুল হোসেন রতন, ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাসান মাহমুদ পলাশ, ফতুল্লা থানা বিএনপির সহ-সভাপতি আলাউদ্দিন খন্দকার শিপন, ফতুল্লা থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আকতার হোসেন, জাতীয়দাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম দল কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিএম সাদরিল প্রমূখ।