সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
গত বছরের ২৯ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের বর্তমান তিন সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্রীয় যুবদল। বর্তমান কমিটির নেতাদের নেতৃত্বে ব্গিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনে রাজপথে কঠোর ভুমিকা রেখেছিলেন বিভিন্ন থানা/উপজেলা যুবদলের পদ প্রত্যাশি নেতারা।
অনেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাজপথে আন্দোলন করেছেন, হামলা মামলা জেল জুলুমের শিকার হয়েছেন। মহানগর যুবদলের এর আগের কমিটির শীর্ষ নেতারাও কমিটি ঘোষণার মুলা ঝুলিয়ে নেতাকর্মীদের ব্যবহার করেছেন মাত্র। একই কাজ করেছেন মহানগর যুবদলের বর্তমান কমিটির নেতারাও। কেন্দ্রীয় যুবদলের নির্দেশনার অজুহাত দেখিয়ে রাজপথের ত্যাগী নেতাকর্মীদের বঞ্চিত করে চলেছেন তারা।
নেতাকর্মীদের সূত্রে জানাগেছে, বর্তমানে মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধান ও সদস্য সচিব পদে আছেন সাহেদ আহমেদ। এর আগের কমিটিতেও সজল ছিলেন সাধারণ সম্পাদক ও সাগর প্রধান ছিলেন সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে। ওই কমিটির সভাপতি ছিলেন মমতাজ উদ্দীন মন্তু। নারায়ণগঞ্জ সদর থানা, বন্দর থানা/উপজেলা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদলের কমিটি গঠনের নামে এসব থানা/উপজেলা যুবদলের নেতাকর্মীদের ব্যবহার করেছেন শীর্ষ নেতারা। কিন্তু আজোবধি কমিটি গঠন করতে পারেননি তারা।
বিগত দুটি কমিটির আমলে নানান সময়ে অভিযোগ ওঠেছিল মহানগর যুবদলের শীর্ষ নেতারা পদ পদবী ও কমিটির দেয়ার নাম করে অনেক নেতাকর্মীদের কাছ থেকে বিশেষ সুবিধা নিয়েছেন। অনেক নেতাকর্মী রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, আবার নিজের ধন সম্পদ বিক্রি করে দলের কর্মসূচি পালনের জন্য খরচ জুগিয়েছেন। রাজপথে আন্দোলন করতে গিয়ে হামলা মামলা জেল জুলুমের শিকার হলে সেখানে আর্থিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন পদ প্রত্যাশি নেতারা। এত্তকিছুর পরেও তাদের ভাগ্যে জুটছেনা পদ পদবী কিংবা কমিটি।
আরো জানাগেছে, বন্দর উপজেলা ও থানা পর্যায়ে দুটি কমিটি গঠনের মুলা দেখিয়েছেন মহানগর যুবদলের শীর্ষ নেতারা। সেই লক্ষ্যে যুবদল নেতা সম্রাট হাসান সুজন, কামরুল ইসলাম রনি, পারভেজ খান, মিনহাজ মিঠুসহ আরো বেশকজন নেতা কমিটি ও পদ পদবী পাওয়ার জন্য রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছেন। গত নির্বাচনের পূর্বে গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন কারাভোগ করেছেন সুজন। পুলিশের হাতে বেদম মারধরের শিকারও হয়েছেন তিনি। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদলের নেতৃত্ব প্রত্যাশি শেখ মোহাম্মদ অপু, শহিদুল ইসলাম, আরমান হোসেন, শাহজালাল কালুসহ বেশকজন নেতা পদ পদবী পাওয়ার আশায় সর্বস্ব বিলিয়ে দিয়েছেন। সদর থানা যুবদলের নেতৃত্ব প্রত্যাশা করে আসছেন রাফিউদ্দীন রিয়াদ, সাইফুল ইসলাম আপন সহ আরো বেশকজন। কিন্তু মহানগর যুবদলের শীর্ষ নেতারা বারবার রাজপথের নেতাকর্মীদের কমিটি পদ পদবীর মুলা দেখিয়ে রাজনীতি করে আসছেন।