সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
চট্টগ্রামে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার বিচার দাবি ও উগ্র সংগঠন ইসকন নিষিদ্ধকরণের দাবিতে সোচ্চার ভুমিকা রাখছেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টে আপিল বিভাগের আইনজীবী ড. তৈমূর আলম খন্দকার। সুপ্রীম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবীদের সংগঠন ‘ভয়েস অব ল’ইয়ার্স অব বাংলাদেশ’ নামক সংগঠনের ব্যানারে আন্দোলনে নেমেছেন তৈমূর আলম খন্দকার।
বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ– ইসকন নিষিদ্ধ এবং চট্টগ্রামে ইসকনের সন্ত্রাসী হামলায় নিহত অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার বিচার দাবিতে ‘ঢাকা টু চট্টগ্রাম রোড মার্চ’ করেছে আইনজীবীদের সংগঠন ‘ভয়েস অব ল’ইয়ারস অব বাংলাদেশ’।
১৩ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে বাংলাদেশ সুপ্রীম হাইকোর্ট থেকে ‘ভয়েস অব ল’ইয়ারস অব বাংলাদেশ’ ব্যানারে এই রোড মার্চ কর্মসূচি শুরু হয়। রোড মার্চে কুমিল্লা, চৌদ্দগ্রাম, ফেনী ও মীরসরাইয়ে পথসভা করেন আইনজীবীরা।
পরবর্তীতে সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে দাবি তুলে ধরেন ড. তৈমূর আলম খন্দকারসহ সংগঠনটির নেতারা।
বক্তব্য রাখেন ভয়েস অব ল’ইয়ারস অব বাংলাদেশ-এর মুখ্য সমন্বয়ক আশরাফ-উজ-জামান, ড. তৈমূর আলম খন্দকার, শামসুল আলম, মোহাম্মদ তাজ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, “আমাদের আজ রোড মার্চ করতে বাধ্য করা হয়েছে। যারা গুজরাটের কসাই মোদীর অনুসারী, তারা বাংলাদেশকে স্বাধীন-সার্বভৌম থাকতে দিতে চায় না। ভারতীয় গোয়েন্দাবাহিনীর এজেন্ট ইসকন বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে।’’
“ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্বলতার সুবিধা নিয়ে তারা সুযোগ খুঁজে বেড়াচ্ছে। তারা উসকানিমূলক কর্মসূচি পালন করছে।”
তারা আরো বলেন, “তারা শাহবাগ থেকে রংপুর পর্যন্ত কর্মসূচি করেছে। কলকাতার কিছু মিডিয়া ব্যবহার করে মিথ্যাচার করছে যে, হিন্দু সমাজের বিরুদ্ধে আমরা কাজ করছি।’’
“অথচ আপনারা জানেন, এদেশে সকল শ্রেণির মানুষ বিশেষ করে, মাদ্রাসার ছাত্ররা পর্যন্ত পূজা মণ্ডপ পাহারা দিয়ে যে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রেখেছে, যার কোনো নজির নেই।”
“আমাদের অনেক হিন্দু-বৌদ্ধ সংগঠন রয়েছে, এরা সাম্প্রদায়িক বক্তব্য দেয় না। অথচ ইসকন সাম্প্রদায়িক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে।’’
“ইসকন আমাদের জাতীয় পতাকা অবমাননা করছে। তাদের আমরা বরদাস্ত করতে পারি না। এদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ইসকন। তাদের বিরুদ্ধে আমরা লড়ে যাব।”
“আমাদের পরিবারের সদস্য আলিফকে হত্যা করা হয়েছে। প্রকাশ্য দিবালোকে একজন তরুণ আইনজীবীকে যেভাবে খুন করেছে, তার পরও কি আমরা বলব না এরা সন্ত্রাসী? আজ আমরা দাবি করছি, ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে হবে।”
এখানে উল্লেখ্যযে, গত ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় জামিন নাকচ করে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় চট্টগ্রামের হাকিম আদালত। ওই আদেশের পর আদালত প্রাঙ্গণে প্রিজন ভ্যান ঘিরে বিক্ষোভ করে সনাতনী সম্প্রদায়ের লোকজন। আড়াই ঘণ্টা পর পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে চিন্ময় দাশকে কারাগারে নিয়ে যায়।
বিক্ষোভকারীরা আদালত চত্বরের বেশ কিছু মোটরসাইকেল ও যানবাহন ভাঙচুর করে। এরপর আদালতের সাধারণ আইনজীবী ও কর্মচারীরা মিলে তাদের ধাওয়া করে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে রঙ্গম কনভেনশন হল সড়কে হত্যার শিকার হন আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ।