সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতৃত্ব কাদের হাতে ওঠবে এমনটা নিয়ে দোয়াশা দেখা দিয়েছে। শীর্ষ দুটি পদে আসতে একাধিক নেতা ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় নেতাদের দ্বারে ধর্ণা দেয়া শুরু করে দিয়েছেন। যদিও কেন্দ্রীয় নেতারা একাধিক জুটির আভাস দিলেও সেটা শেষ পর্যন্ত নাও থাকতে পারে। যদিও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির বিলুপ্ত কমিটির সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকনের কমিটিতে আসার কোনো সম্ভাবনাই নাই এমনটা নিশ্চিত করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় একাধিক নেতা।
নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, গিয়াসউদ্দীন আশা ছেড়ে দিলেও হাল ছাড়ছেনা গোলাম ফারুক খোকনের বস খ্যাত নেতা বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভুঁইয়া। জেলা বিএনপির রাজনীতিতে দিপু ভুঁইয়ার কর্তৃত্ব টিকিয়ে রাখতে খোকনকে নিয়ে আবারো চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। তবে খোকনকে রক্ষা না করতে পারলে বিকল্প হিসেবে ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটুকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কিংবা সদস্য সচিব পদে আনার চেষ্টায় থাকচেন দিপু ভুঁইয়া। যদিও গিয়াস ও খোকনকে নিয়ে নতুন করে আশা দেখছেন না কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতারা। তাদের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ এবং খোকন নিজেই আরেকজনের কাঁধে ভর করে জেলা বিএনপির সেক্রেটারি পদটি বহন করেছিলেন, যে কারনে খোকনের সম্ভাবনা জিরো পারসেন্ট।
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় বিএনপির একাধিক নেতা নিশ্চিত করেছেন যে, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির, সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহামুদ ও জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুকুল ইসলাম রাজীবের মধ্যে যেকোনো দুজনের নেতৃত্বে আসতে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নতুন কমিটি। তবে এও বলছেন তারা, সিনিয়র নেতাদের দিয়ে কমিটি গঠিত হলে কাজী মনির ও মান্নানের নেতৃত্বে আসার সম্ভাবনা বেশি। কেউ কেউ বলেছেন এদের দুজনের মধ্যে যে কোনো একজনকে শীর্ষ পদে রেখে মামুন কিংবা রাজীবকে সেক্রেটারি পদে বসানো হতে পারে।
উপরোক্ত বিষয়ে কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতাদের নানা আলোচনার মাঝেও জেলা বিএনপির শীর্ষ পদে আসার লড়াইয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের দ্বারে দ্বারে যোগাযোগ শুরু করে দিয়েছেন জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান রোজেল, ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী, জেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল ইসলাম চয়ন। তবে ৯ কিংবা ১১ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি কিংবা আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হলে উপরোক্ত সকল নেতারাই থাকছেন কমিটিতে সেটাও প্রায় অনেকেই ধারণা করছেন। যদিও কমিটি ঘোষিত না হওয়া পর্যন্ত কাদের ভাগ্যে আছে শীর্ষ দুটি পদের নেতৃত্ব সেটা চূড়ান্ত বলা কঠিন। তবে হাল ছাড়ছেন না কেউই।
উল্লেখ্যযে, গত ২৪ ডিসেম্বর মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন সভাপতি ও গোলাম ফারুক খোকন সাধারণ সম্পাদক পদে নেতৃত্বাধীন জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। তাদের বিরুদ্ধে গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশে এই কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে বলেও জানানো হয়। গত বছরের ১৮ জুন জেলা বিএনপির দুটি পদের সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হোন উপরোক্ত দুই নেতা। এর আগে ২০২২ সালের ১৫ নভেম্বর তাদের নেতৃত্বে জেলা বিএনপির ৯ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায় কমিটি গঠিত হয়।